এই মুহূর্তে জেলা

সহকর্মীকে পরিকল্পনামাফিক খুন। আদালতে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা।

হাওড়া , ২৬ নভেম্বর:- নিজের আক্রোশ মেটাতে পরিকল্পিতভাবে সহকর্মীকে খুনের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হল অরবিন্দ কুমার সাউ নামের এক ব্যক্তির। বৃহস্পতিবার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক শর্বাণী মল্লিক চট্টোপাধ্যায় দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডের নির্দেশ দেন। এদিন সরকারী আইনজীবী কেয়া ঘোষ জানান, দন্ডপ্রাপ্ত অরবিন্দ বেলুড় থানা এলাকার জিটি রোডে একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি বিহারের বেগুসরাইয়ে। বিভিন্ন কারণে ওই দোকানেরই অপর এক কর্মচারী রাজু সিং-এর সঙ্গে তাঁর অশান্তি চলছিল অনেকদিন ধরেই।

মাঝেমাঝেই তাদের অশান্তি হত। ঘটনাটি ঘটে ২০১৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ওইদিন রাত প্রায় ১২টা নাগাদ দোকানের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ঘরে এসে অরবিন্দ এবং রাজুর সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন মোহন সিং নামে এক ব্যাক্তি। তিনি এসে দেখেন ঝগড়া চলাকালীন হটাৎই অরবিন্দ একটা ছুরি বার করে রাজুর পেটে ঢুকিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন রাজু। ইতিমধ্যে দুজনের চিৎকারে অনেকেই সেখানে জড়ো হয়। এরপর অরবিন্দকে ধরার চেষ্টা করা হলেও তাঁদের ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে পালায় সে। পরে এলাকার মানুষেরা অরবিন্দকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন।

পরে অরবিন্দকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজুকে টিএল জয়সোয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার পর মোহন সিং বেলুড় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। সরকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, খুনের একদিন আগে স্থানীয় শেখ সিকান্দার নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দোকানের মালিকের নাম করে অরবিন্দ একটি ছুরি কিনেছিল। সেই ছুরি দিয়েই খুন করে রাজুকে। এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্যদান করেন। এরপর চলে বিচারপর্ব।বৃহস্পতিবার বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।