হাওড়া , ১৩ নভেম্বর:- গত কয়েক মাস ধরে সারা বিশ্বজুড়েই করোনা অতিমারীর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে এবছর আদালতের রায়ে নিষিদ্ধ হয়েছে সব বাজি। আলো, ধোঁয়া বা শব্দ উৎপন্ন করে এমন কোনও বাজিই কোভিড পরিস্থিতিতে এবার নিষিদ্ধ হয়েছে। এই নিয়েই এবছর কালীপুজোর মন্ডপে ব্যানার ও দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে দর্শনার্থীদের সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন হাওড়ার চারাবাগান নেতাজি সংঘের পুজো উদ্যোক্তারা। এদের সংঘের ভদ্রকালী পুজোর এবার ৫১ তম বছর। সংঘের সদস্যরা জানান, বর্তমান বছরে কোভিড পরিস্থিতিতেই পুজো হচ্ছে। বর্তমান সমস্ত পরিস্থিতি বিচার করে এবছর আমাদের ভাবনা “করোনামুক্ত পৃথিবী চাই, দূষণমুক্ত পরিবেশ চাই। নতুন করে বাঁচতে চাই”।
সমাজ সচেতনতামূলক ( বাজি পোড়ানো বন্ধের জন্য ) প্রচার করা হয়েছে ব্যানারের মাধ্যমে, আঁকার মাধ্যমে মণ্ডপের আশপাশ সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেই সমস্ত সরকারি নির্দেশ মেনেই এবছর প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা শুধুই পুজো নিয়েই মাতামাতি করিনা, সারা বছর আমরা বিভিন্ন ধরণের সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকি। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নামাঙ্কিত এই ক্লাবে তাঁর জন্মদিনেই বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দিয়ে শুরু হয় আমাদের কর্মসূচী। তারপর সারাবছর ধরে চলে আমাদের অনুষ্ঠান।
রবীন্দ্র নজরুল সন্ধ্যা, রক্তদান শিবির, পল্লীর কৃতী ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ প্রদান, সমাজের বিভিন্ন গুণী মানুষদের সম্মাননা প্রদান, স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস পালন থেকে শুরু করে মনীষীদের জন্মদিন পালন সহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কর্মসূচি আমরা নিয়ে থাকি। এবছর করোনা বিপর্যয়ের কারণে লকডাউন চলাকালীন পল্লীর কয়েক’শ মানুষের কাছে আমরা রান্না করা খাবার পৌঁছে দিয়েছি। খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।আমফান ঝড়ের পরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন গ্রামে ত্রাণসামগ্রী, শুকনো খাবার পৌঁছে দিয়েছি। উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে ত্রাণসামগ্রী ও শুকনো খাবার পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে ১৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছি।