হুগলি , ১৩ নভেম্বর:- বৃহস্পতিবার রাত্রে শ্বশুরবাড়ি থেকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার বধূর নিথর দেহ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত পাপ্পু ঘোষ কে। ঘটনাটি হুগলির কোন্নগরে 19 নম্বর ওয়ার্ডের। মৃত গৃহবধূর নাম প্রিয়া ঘোষ। 21 বছর বয়সী প্রিয়ার বাপের বাড়ির অভিযোগ তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রিয়া শশুর বাড়ি দাবি প্রিয়া নিজে আত্মহত্যা করেছে। সূত্রের খবর, উত্তরপাড়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী হিন্দমটর নিবাসী পিয়া পালিতের সঙ্গে তিন বছর ধরে প্রণয় সম্পর্ক ছিল কোন্নগর নিবাসী পাপ্পু ঘোষের সঙ্গে। তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক থাকার পর জানুয়ারি মাসে প্রিয়ার সাথে বিয়ে হয় পাপ্পু। প্রিয়ার বাপের বাড়িতে অভিযোগ, বিয়ের পর তুই ভালো দেখতে না বলে প্রিয়াকে কটুক্তি করতে থাকে পাপ্পু ও তার পরিবারের লোকজন।
এমনকি বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য প্রিয়াকে চাপ দিতে থাকে পাপ্পু ও তার পরিবার। ক্রমাগত তার রূপ নেয় মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের। বিয়ের তিন মাস পর পিয়ার ওপর শারীরিক নির্যাতন এমন পর্যায়ে পৌঁছায় প্রিয়া বাপের বাড়িতে জানাতে বাধ্য হয়। এরপরই প্রিয়ার বাপের বাড়ি এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন একসাথে বসে তখনকার মতো বিভাগের বিষয়টি মিটিয়ে নেন| এরপরেও থেমে থাকেনি পিয়ার ওপর অকথ্য অত্যাচার। এরপরই বৃহস্পতিবার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় পিয়ার দেহ। পিয়ার বাপের বাড়ি তরফ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বধূ নির্যাতন এবং খুনের। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পিয়া স্বামী পাপ্পু অভিযুক্ত পাপ্পু মন্ডল কে। সত্যি খতিয়ে দেখে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে উত্তর পাড়া থানার পুলিশ।