হুগলি, ১০ জানুয়ারি:- হুগলি জেলার চন্ডীতলা ব্লকের বেগমপুরে পৌষ মাসের শুক্লা নবমীতে বিশ্বকর্মা পূজো আয়োজিত হয়। পুজোর সময় শাড়ি বোনাই এ ব্যস্ততা থাকার কারণে তন্তুবায় সম্প্রদায়ের মানুষজন পৌষ মাসে এই পুজোর প্রচলন করেছিলেন। একদা তাঁতিদের ঘরে ঘরে এই পুজো আয়োজিত হলেও বর্তমানে একাধিক বারোয়ারি পুজো কমিটি বিশ্বকর্মা পূজোর আয়োজন করে থাকে। এই অকাল বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে উৎসবের মেজাজ। আর এই বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে আজ সাত সকালে বেগমপুরে উপস্থিত হন এলাকার সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কয়েকটি পূজো মণ্ডপ ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁতিদের সাথেও কথাবার্তা বলেন সাংসদ। একটা শাড়ি বুনতে কতক্ষণ সময় লাগে, কত কষ্ট করে আপনারা এই শাড়ি বানাচ্ছেন ইত্যাদি বিষয় তাঁতিদের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করেন রচনা। এরপর সমবায়ে একের পর এক তাঁতের শাড়ি দেখেন তিনি। তাঁতিদের হাতে বোনা সুন্দর সুন্দর শাড়িতে অভিভূত হন রচনা। বেগমপুর এর শাড়ি খুব তাড়াতাড়ি জি আই অনুমেদন পাবে এমন কথা সাংসদকে জানান সমবায়ের সদস্যরা। সাংসদকে তাঁতিরা নিজেদের হাতে বোনা শাড়িও উপহার দেন।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নতুন নতুন ডিজাইন এ খুব সুন্দর সুন্দর শাড়ি তৈরী হচ্ছে এখানে, দেখে খুব ভালো লাগলো। কালার কম্বিনেশন ও খুব ভালো। আমি চাই এনারা খুব তাড়াতাড়ি জি আই অনুমোদন পেয়ে যাক। অন্যদিকে সময়ের তালে তালে বেগমপুর তাঁত জনপ্রিয় হলেও তাঁতিদের মজুরি বৃদ্ধি পায়নি,নতুন প্রজন্ম আসতে চাইছে না এই পেশায়। ফলে আক্ষেপ থেকে গেছে তন্তুবায়দের। বেগম পুর হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ম্যানেজার শৈল কুমার কুন্ডু জানান, এখানকার তাঁত খুব ই সংকটে। আস্তে আস্তে তাঁত শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে কারণ এই পেশায় কোন ইনক্রিমেন্ট নেই। দিদি ঝটিকা সফরে আজ বেগমপুর পরিদর্শন করলেন তাই বিশদে আমাদের সমস্যা নিয়ে এবং সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। হলে খুব ভালো। এই ধরনের শিল্পকলা যাতে নষ্ট না হয় তা সবার দেখা উচিত। এ বিষয়ে সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আমি যখন ঘুরে দেখলাম তখন তাঁতীরা অবশ্য তাদের আক্ষেপের কথা কিছু জানান নি। তবে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে অবশ্য আমি এখন ই কিছু বলতে পারবো না। যদি তাদের কোন আক্ষেপ থাকে অবশ্যই দিদি তার জন্য ভাবনা চিন্তা করবেন।