এই মুহূর্তে জেলা

আমফান ও লকডাউনের জোরা ফলায় উধাও সাবেকী “ডাকের সাজ”।

সুদীপ দাস , ১০ নভেম্বর:- এমনিতেই আমফানে ক্ষতির বহর প্রচুর। তারউপর লকডাউনের জেরে দেখা নেই ডাকের সাজের। ফলে প্রতিমা সাজাতে এবারে আট বাংলাই ভরসা। দূর্গার পর কালি, সর্বোপরি জগদ্ধাত্রী পুজোয় ডাকের সাজের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। শোলা দিয়ে শিল্পীদের নিপুন ছোঁয়ায় তৈরী হয় ডাকের সাজ। মৃন্ময়ী মা যেই সাজে সাবেকি চিন্ময়ী হয়ে ওঠেন। মূলত সুন্দরবন এলাকায় শোলার চাষ হয়। আমফানে সেই শোলার চাষ কার্যত তছনছ হয়েছে। যেটুকু ছিলো লকডাউনের ফলে তা পরে থেকে নষ্ট হয়েছে। ফলে দূর্গা পুজোতেও সেভাবে ডাকের সাজের দেখা মেলেনি। তবে ডাকের সাজের বিকল্প হিসাবে জরি, চুমকি, কাগজ প্রভৃতি দিয়ে তৈরী আটবাংলা সাজেই ভরসা করতে হয়েছে। সামনেই কালি পুজো।

বহু জায়গাতেই মা কালিকে ডাকের সাজে সাজানো হয়। তবে এবারে সেখানেও আটবাংলার সাজ। চুঁচুড়ার কাপাসডাঙ্গা এলাকার প্রবীন প্রতিমা শিল্পী তারক পাল বলেন এবারে ডাকের সাজের কাজ হয়নি বললেই চলে। গতবছরের পুরনো সাজ যাদের কাছে ছিলো তাঁরাই কিছু কাজ করেছেন। তবে নতুন সাজ বাজারে আসেনি। পাশাপাশি তিনি বলেন চন্দননগরের ঐতিহাসিক জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই ডাকের সাজ। করোনা আবহে এবারে জগদ্ধাত্রীর জৌলুস কমতে চলেছে। বহু বারোয়ারিতেই হবে ঘট পুজো। তবুও যারা প্রতিমা পুজো করবেন তারাও সবাই ডাকের সাজ পাবেন না। এই এলাকায় প্রতিমার গয়না ব্যাবসায়ী পরিমল পাল বলেন ডাকের সাজ এবারে পাওয়াই যাচ্ছে না। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে তার দামও কয়েকগুন বেশী। ফলে আটবাংলার সাজেই ভরসা করতে হচ্ছে।