হুগলি , ১৭ অক্টোবর:- বিবাদ ভুলে ঐক্যের বার্তা হুগলি জেলা তৃনমূলে। বেশকিছু দিন ধরে জেলা তৃনমূলে বিরোধ সামনে আসে। কখনো নাম করে কখনো নাম না করে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন বিধায়ক সাংসদরা। বিরোধ মেটাতে গত ১৫ অক্টোবর তাঁর অফিসে হুগলির তৃনমূল নেতাদের বৈঠকে ডাকেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। সেখানে ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী হুগলি জেলা তৃনমূল নেতৃত্বকে স্পস্ট জানিয়ে দেন কোনো বিবাদ মিটিয়ে এক হয়ে চলতে হবে। না হলে অন্য ব্যবস্থা হবে। দিলীপ যাদবকে সভাপতি রেখেই কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়, তপন দাশগুপ্ত, অসীমা পাত্র, অপরূপা পোদ্দার, প্রবীর ঘোষাল, বেচারাম মান্না, স্নেহাশিষ চক্রবর্তীদের নিয়ে কোর কমিটি তৈরী করে দেয় রাজ্য নেতৃত্ব।
আজ শ্রীরামপুরে তৃনমূলের কোর কমিটি বৈঠক করে। পরে সাংবাদিকদের সামনে ঐক্যের বার্তা দেন। শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ২০২১ সালে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই হবে। যেসব জায়গায় আমরা পিছিয়ে গেছি সেসব জায়গায় একত্রিত হয়ে কাজ করব। মমতা বন্দোপাধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখে নির্বাচন হবে। রাজ্যের উন্নয়ন মমতার কাজ নিয়ে যেমন প্রচার হবে তেমন বিজেপির জন্য ভারত পিছিয়ে গেছে। কৃষিবিল হাথরাস বিজেপির গুন্ডামী নিয়েও প্রচার চলবে। কালী পুজোর আগে জেলার দশটি বিধানসভায় নেতৃত্ব সভা করবে। কালীপুজোর পর বাকি আটটা বিধানসভায় সভা হবে বলে জানান কল্যাণ। জেলার মুখপত্র প্রবীর ঘোষাল বলেন, আমাদের দল গণতান্ত্রিক। বিরোধ ছিল আছে থাকবে তবে সেই বিরোধ হল মনের। ক্ষোভ বিক্ষোভ মতবিরোধ হতে পারে। কিন্তু এককাট্টা হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছি। যদিও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু জানান একটা-দুটো মিটিংয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া যায় না ওরা দ্বিধা-বিভক্ত, এর ফলে বিজেপিকে আটকানো যাবে নাl যদিও সময় বলবে কোর কমিটির এই বৈঠক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসকে কতটা সংঘবদ্ধ করতে পারবে তার দিকেই তাকিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলl