কলকাতা , ৬ অক্টোবর:- রাজ্যের অপরাধ বিষয়ক তথ্য যথাসময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে না পাঠানোয় দিন কয়েক আগেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার ধর্ষণ- অপহরণের মতো মহিলাদের ওপর হওয়া অপরধের তথ্য গোপন করার অভিযোগ তুলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য চেপে যাওয়ার অভিযোগ আনলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। ‘রাজ্য প্রশাসনের’ কাছ থেকে পাওয়া তথ্য-কে হাতিয়ার করেই এই মারাত্মক অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।যদিও রাজ্য সরকার রাজ্যপালের দেওয়া এই সব তথ্য ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর বলে খারিজ করে দিয়েছে। অগস্ট মাস জুড়ে এ রাজ্যের কোন জেলায় কত মহিলা অপহৃত ও কত মহিলা ধর্ষিত, টুিট করে তার রীতিমতো একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
সেই তালিকা টুইট করে এদিন তিনি লেখেন, “সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী ২২৩টি ধর্ষণ এবে ৬৩৯টি অপহরণ হয়েছে অগস্ট মাসে। এটাই রাজ্যে নারীহিংসার ছবি। শৃঙ্খলা ফেরানোর সময় হয়েছে এবার।”এর কিছু পরেই রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে টুইট করে দাবি করা হয়, বাংলার ধর্ষণ ও অপহরণ নিয়ে যে ‘পরিসংখ্যান’ রাজভবনের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে, তা কোনও সরকারি সূত্রের রিপোর্ট বা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি। অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর। আসল ঘটনা ও তথ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের দাবির কোন সঙ্গতী নেই।এর পরে ফের টুইট করেন রাজ্যপাল।সেখানে তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকারের তরফে এই উত্তরে তিনি স্তম্ভিত হয়ে গেছেন।
বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই ধর্ষন ও অপহরণের তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি করেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি প্রতিটি তথ্য যত্নসহকারে যাচাই করা হয়েছে। এটা যে রাজ্য সরকার অস্বীকার করল, সে জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভুল স্বীকার করা উচিত। পশ্চিম বাংলায় আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে বারবারই সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি সন্দেহে বাংলা থেকে গ্রেফতার হওয়া, বিস্ফোরক উদ্ধার— সব নিয়েই নবান্নের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা শানিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। গতকালই ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ সারির কর্তাদের তলব করেছেন ধনকড়। আর আজ দুপুরে রাজ্যকে সরাসরি আক্রমণ করেন নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে।