এই মুহূর্তে জেলা

চকবাজারে ব্যাবসায়ীর সাথে তৃণমূল কর্মীর দ্বন্দ্ব মেটাতে তৎপর বিধায়ক।

হুগলি, ২৯ আগস্ট:- বিধায়কের উপস্থিতিতে চকবাজারের হোটেল ব্যবসায়ীর সাথে কাউন্সিলরের স্বামীর মিটমাট করানোর ঘটনায় তৃণমূলী রাজনীতিতেই পরিণত হল। যদিও চুঁচুড়ার বিধায়ক আসিত মজুমদার বললেন এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। বিধায়ক হিসেবে সমস্যার সমাধান করতে এসেছিলাম। তবে পুরো ঘটনায় রাজনীতির গন্ধ পেহয়েছেন চকবাজার ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির সদস্যরা। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগে চকবাজার মোড়ে একটি হোটেল মালিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। টাকা না পেয়ে সেই হোটেলের খানিকটা বর্ধিত অংশ ভাঙার নির্দেশিকা নিয়ে হাজির হন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রীতা দত্তের স্বামী স্বপন দত্ত। হোটেল মালিকের সাথে হাতাহাতিতে জড়ান স্বপন। ঘটনায় হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়। সেই ঘটনাতেই আজ দু’পক্ষের মধ্যে মিটমাট করতে যান বিধায়ক। ছিলেন বহু তৃণমূল নেতা কর্মী। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিধায়ক বলেন, হোটেল মালিক জগন্নাথ খাঁড়া আমাদের দলের কর্মী।

এ ছাড়াও তৃণমূলের কর্মীদের নানান গুণগান তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরব হওয়া বিজেপি, সিপিএমের গায়ে নোংরা রাজনীতির তকমা লাগান। পাশাপাশি মঞ্চ থেকেই বিধায়ক বলেন ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার ব্যাপারটা সর্বৈব মিথ্যা। অভিযোগ করতে গেলে কিছু একটা অভিযোগ আনতে হয় সেটাই জগন্নাথ করে ফেলেছে। সবশেষে জগন্নাথ ও স্বপনের কোলাকুলির মধ্য দিয়ে মিটমাট অনুষ্ঠান শেষ হয়। যদিও এ দিন জগন্নাথকে ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এবিষয়ে কোনও মুখ খুলতে চাননি। শুধু বলেন, বিধায়ক মিটমাট করিয়েছেন এর বেশি কিছু বলব না। ব্যবসায়ী সমিতির বর্ষীয়ান সদস্য সাধন চক্রবর্তী বলেন, আমরাও চেয়েছিলাম মীমাংসা হোক। কিন্তু এ ভাবে রাজনীতির রং লাগুক সেটা চাইনি। অন্যদিকে এ দিন অনুষ্ঠান চলাকালীন চকবাজার মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যানজটে নাকাল হন বহু মানুষ। স্কুল পড়ুয়ারাও আটকে যান।