এই মুহূর্তে জেলা

অনশনে কাজ না হওয়ায় কোচবিহারের সিএমওএইচ-র ঘরের সামনে ধর্নায় বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীরা।

কোচবিহার , ১০ সেপ্টেম্বর:- দীর্ঘ ৩০ দিন ধরে অনশন করার পর কোনোরকম সমাধান না হওয়ায় এবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধর্নায় বসে পড়লেন জেলার বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীরা। জানা গেছে, বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্য কর্মীদের বেতনবৃদ্ধি, স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমবেতন দেওয়া সহ দীর্ঘদিন থেকেই তাঁরা বেশকিছু জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বর্তমানে করোনা মোকাবিলাতে তাঁরা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে কাজ করলেও তাঁদের দাবিদাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতার অভিযোগ তুলে অনশনে বসেন তাঁরা। কিন্তু তাতেও কাজ না হয় বৃহস্পতিবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরের ভিতরেই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের ঘরের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা।

অনশনকারীদের মধ্যে এক জন বলেন, গত ৯ বছর ধরে মাল্টি পার্পাস হেলথ ওয়ার্কারদের বৃদ্ধি হয় নি মাসিক ভাতা। করা হয়নি বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীদের চাকরির স্থায়ীকরণ। তাদের দাবী অবিলম্বে মাসিক ভাতা বৃদ্ধি, বিগত ৯ বছরের এরিয়ার প্রদান ও চাকরীর স্থায়ী করন করতে হবে। দাবী পূরন না হওয়া পর্যন্ত এই আমরন অনশন চলবে। ৩০ দিন থেকে আমরা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের আধিকারিকের দপ্তরে অনশন করছেন, কিন্তু সরকারিভাবে তাঁদের দাবি মেটানোর জন্য কিছুই করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সেই কারনে আজ আমরা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধর্নায় বসেছি।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ২৯ দিনের মাথায় বুধবার অনশনকারীদের সাথে দেখা করতে অনশন মঞ্চে যান আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা। তিনি এসে অনশনকারীদের সাথে কথাবার্তা বলেন,তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং আশ্বাস দেন তিনি দিল্লিতে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি ফিরে যাওয়ার পরেই জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধর্নায় বসেছেন বহুমুখী পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীরা। কেন তারা এতদিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের ঘরের সামনে ধর্নায় বসলেন না। আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা ধর্না মঞ্চে আসার পরেই বা কেন তারা ধরনায় বসলেন তা নিয়ে কিন্তু শুরু হয়েছে বিস্তর জল্পনা।