বাঁকুড়া , ২ সেপ্টেম্বর:- সোনামুখী জঙ্গল লাগোয়া মানিক বাজার , কওরাশলি , মুশলো , বেলডাঙ্গা , পাথরমোড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষের সারা বছরই কমবেশি হাতির আতঙ্কে রাত কাটাতে হয় । অনেক সময় হাতিকে বাগে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বনদপ্তরের আধিকারিকদের । আর সে কারণে হাতির গতিবিধি সঠিকভাবে নির্ণয় করার জন্য সোনামুখী জঙ্গলে তৈরি করা হয়েছে এই ” এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ার ” যেখান থেকে সহজেই হাতির গতিবিধি অনুভব করা সম্ভব । বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের আর্থিক সহযোগিতায় এবং সোনামুখী বনদপ্তরের উদ্যোগে সোনামুখী জঙ্গলে এই ” এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ার ” তৈরি করা হয়েছে । এর ফলে বেড়েছে সোনামুখী জঙ্গলের সৌন্দর্য । প্রাথমিকভাবে দেখলে মনে হতেই পারে এটা কোনো ছোটখাটো একটা রিসোর্ট । কিন্তু তা নয় এটা একটা ” এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ার ” ।
এই সৌন্দর্য দেখতে বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষ চলে আসছেন জঙ্গলে । যদিও সোনামুখী বনদপ্তরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বার্তা দেওয়া হয়েছে গভীর জঙ্গলে সাধারণ মানুষ যাতে না আসে । কেননা এতে যেকোনো সময়ে বিপদের আশঙ্কা থাকতে পারে । বনদপ্তরের এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সোনামুখী জঙ্গল লাগোয়া বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ । এর ফলে বনদপ্তরের আধিকারিকরা হাতির গতিবিধি সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন এবং লোকালয়ে হাতির অনুপ্রবেশ রুখতে পারবেন। সোনামুখী বনাধিকারিক দয়াল চক্রবর্তী বলেন , হাতির গতিবিধি অনুভব করতে এবং হাতি লোকালয়ে প্রবেশ করছে কিনা তা বুঝতে এই ” এলিফ্যান্ট ওয়াচ টাওয়ার ” তৈরি করা হয়েছে । যাতে করে আমরা আগে থেকেই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পারি । তবে সাধারণ মানুষকে জঙ্গলে না আসার বার্তা দিয়েছেন তিনি ।