এই মুহূর্তে জেলা

মঙ্গলগ্রহে এক একর জমি কিনে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন শ্রীরামপুরের সৌনক।

হুগলি , ২৫ আগস্ট:- প্রথম বাঙালি হিসাবে মঙ্গল গ্রহে জমি কিনে ফেললেন হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সৌনক দাস। বুক ঠুকে বলছেন গর্বিত আমি বাঙালি।মানুষ চাঁদে গেছে শুনেছেন। মহাকাশ পারি দিয়েছে তাও শুনেছেন। বাঙালি ফ্লাট কিনছে, বাড়ি করছে আকছার দেখছেন। কারো পছন্দ নদীর ধার তো কারো বা সমুদ্র, পাহাড়। কিন্তু এই রকম তো শুনিনি মশাই!জমি, তাও আবার মঙ্গলে। অক্ষয় কুমারের ছবি মিশন মঙ্গল অনেকেই দেখেছেন বলে আশা। আস্ত একটা জমি মঙ্গল গ্রহে কেউ কিনে ফেলতে পারেন ?

এ সবে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। সেই কবে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ হিমালয় পর্বত চষে ফেলেছিলেন। শৈলেন্দ্রণারায়ান ঘোষাল শাস্ত্রী নর্মদা পরিক্রমা করেছিলেন, আর উমাপ্রশাদ মুখোপাধ্যায়ের হিমালয় ভ্রমণ তো গল্পকথা। হিমালয়ের হেন স্থান নেই স্যার আশুতোষের ছেলে দেখেননি। বাঙালির রক্তে ঘোরা আছে। আছে দেশভ্রমণ। আর সেটাই এবার করে দেখলেন হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শৌনক দাস। সদ্য বিবাহিত। লোকে বলছে মঙ্গলে সৌনক হানিমুন করবেন। শৌনকের নাম সহ একটা চিপ ইতিমধ্যেই নাসার রকেট চেপে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা হযেছে। বেসরকারি অফিসে কর্মরত শৌনক এক একর জমি কিনেছে। দাম পড়েছে মাত্র তিন হাজার।

জমির দলিল , মঙ্গলের ঠিক কোথায় তার জমি আছে এবং জমির যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যেই তার হাতে এসে গেছে। জানা গেছে নাসা একটি সংস্থাকে দিয়ে এই জমি পাবার ব্যাবস্থা করেছিল। তাতেই অংশীদার হয়ে যায় শৌনক। ২০২৪ সালে চাঁদে লোক পাঠাতে চায় নাসা। তারপর মঙ্গল গ্রহে। পুরুষ অভিযাত্রীর পাশাপাশি মহিলা অভিযাত্রীও থাকবেন। সমস্ত দিক দেখে এখন নকশা বানাতে ব্যাস্ত শৌনক। মঙ্গলের জমি কি হবে সে নিয়েও চিন্তিত লাগলো তাকে। তবে প্রথম বাঙালি হিসাবে মঙ্গল গ্রহে জমি কিনতে পেরে গর্বিত বলেই জানালেন সৌনক।