নবান্ন , ২৪ আগস্ট:- করোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেড়শ কোটি টাকার ওপর অনুদান এসেছে। তা কাজে লেগেছে। কিন্তু অন্যরা যা তুলেছে কেউ জানতে পারেনি। পিএম কেয়ার ফান্ডে কত টাকা জমা পড়েছে তা কেউ জানতে পারেনি বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। প্রশাসনিক বৈঠক মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ প্রশ্ন করছে সরকার কত মাস্ক কিনেছে। এসব প্রশ্ন করার আগে বলুন আপনার টেক কেয়ার ফান্ডে কত জমা পড়েছে ? কিছু লোক আছে যাদের কাজকর্ম নেই সারাদিন বলে বেড়ায়।’ তিনি জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য ত্রুটিপূর্ণ কিটস কোথা থেকে কেনা হয়েছিল তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে যেসব কিটস এলো তা ভেজাল বলে ধরা পড়ল। আইসিএমআর সেগুলো ফিরিয়ে নিল।
ধরা যখন পড়লাম তার পিছনে কিছু ছিল। কেউ যেন প্রশ্ন না করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোথা থেকে কিনছে। এসব প্রশ্ন করার আগে বলুন ভেজাল কিটস এটা কোথা থেকে কিনেছিলেন।’ তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের কাছে ৫৩ হাজার কোটি টাকা পাবে রাজ্য। জিএসটি বাবদ সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। কোভিডের জন্য কোনো টাকা পায়নি বাংলা। নিম্নচাপের জেরে আরও বৃষ্টির সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাই বিভিন্ন জেলার প্রশাসনকে আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের জেলাগুলি বন্যাপ্রবণ সেই জেলাগুলি ঘুরে অবস্থা বুঝে বন্দোবস্ত করতে হবে। সোমবার দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি নিয়ে বৈঠক হয়েছে নবান্ন সভাঘরে। তিনি সেই বৈঠকে বলেন, সব রাজ্যে বন্যার সমস্যা নেই। পশ্চিমবঙ্গে আছে। তাই ডিভিসি জল ছাড়লে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে।