এই মুহূর্তে জেলা

লকডাউনে রাস্তায় মোবাইলে ব্যস্ত যুবকরা, পুলিশের তাড়া খেয়ে নয়ানজুলিতে ঝাঁপ।

হাওড়া , ২৫ জুলাই:- বৃহস্পতিবার যেখানে শেষ হয়েছিল শনিবার ঠিক সেখান থেকেই শুরু করে প্রশাসন। এক সপ্তাহে দ্বিতীয় লকডাউনে প্রশাসন দিনভর কড়া হাতে নজরদারি চালালো শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র। জয়পুর থানার ওসি তাপস কুমার নস্কর পুলিশের একটি দল নিয়ে সেহাগোড়ী সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় সকাল থেকে টহলদারি চালালেন। লাঠি হাতে পুলিশের টিম দেখেই কেউ দৌড়ে পালালো। তো কেউ ঝাঁপ দিলেন নয়ানজুলি তে। শনিবার লকডাউনে এ দৃশ্য আমতা-২ ব্লকের সেহাগোড়ী কালীতলা এলাকার। বেশ কয়েকজন যুবক রাস্তার ধারে বসে মোবাইল ঘাটছিল। তা দেখে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। লাঠি হাতে বেরিয়ে আসতেই দু’জন যুবক দৌড়ে পালালেও এক যুবক নয়ানজুলি তে ঝাঁপ দেয়। হাতে মোবাইল নিয়ে গলা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর পুলিশ চলে গেলে ওই যুবক উঠে আসে নয়ানজুলি থেকে।

অন্যদিকে আন্দুল স্টেশন রোডের সামনে লকডাউনে দোকান খোলা থাকায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ গ্রেফতার করেন এক ব্যক্তিকে বলে জানা গেছে। পুলিশের নিষেধ থাকা সত্বেও দোকান খোলা হয়। এরপরেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পাশাপাশি উত্তর হাওড়ার পিলখানা সহ বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি চালায় হাওড়া সিটি পুলিশ। একি সঙ্গে সিটি পুলিশের কমব্যাট ফ্রোর্স নামিয়ে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করা হয়। শিবপুর নবান্নের সামনে ট্রোল প্লাজায় সকাল থেকে জোরদার নাকা চেকিং চালানো হয়। একিদৃশ্য ছিল হাওড়া ব্রিজেও। সেখানেও পুলিশের নাকা চেকিং চলে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া কাউকে যেতে দেওয়া হয় নি। লিলুয়া থানার বেলগাছিয়া ও বেনারস রোড এলাকায় জোরদার পুলিশি নজরদারি ছিল। শলপ, ডোমজুড়, বড়গাছিয়া প্রত্যকেটি মোড়ে মোড়ে পুলিশের নজরদারি ছিল কড়াকড়ি।

এ দিন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সুনসান ছিল রাস্তা। রানিহাটি মোড়, পাঁচলা মোড়, নিম দিঘি মোড়, বাগনান সহ ৬নং জাতীয় সড়কে পুলিশের নজরদারি ছিল কড়াকড়ি। তারপরও নিয়ম ভেঙে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে বেশকিছু বাইক চালককে। এরপর লকডাউন আগামী সপ্তাহে বুধবার। তার আগে মানুষজনকে ঘরবন্দী রাখাই ছিল প্রশাসনের কাছে একটা মস্ত পরীক্ষার। সুনশান-নিস্তব্ধ রাস্তা বলে দিচ্ছে প্রশাসন লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। তবে শনিবার লকডাউন ও রবিবার ছুটি থাকায় শুক্রবার রাতেও ভিড়ের ছবি ধরা পড়েছিল হাওড়াতে। বাইকে করে ফিরবার সময় দশনম্বর-মানিকপীর বাসস্ট্যান্ডের মাঝে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন দুই বাইক চালক। রাস্তায় বালি পড়ে থাকায় রাতে সামনের গাড়ির আলোয় দুর্ঘটনায় পড়ে দুটি বাইক। রাতেই আমতা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে বৃহস্পতিবার বন্ধ শুক্রবার সম্পূর্ণ খোলা থাকার পর শনিবার তার উল্টো ছবি ছিল জেলার সর্বত্র। মানুষ বাড়ির বাইরে বেরবার থেকে বাড়িতে থাকতেই পছন্দ করেছে বেশি।