এই মুহূর্তে জেলা

সরকারী নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে খোদ বিধায়ক, পজেটিভ আসতেই দিশাহারা শাসক দল।

সুদীপ দাস , ২২ জুলাই:- পরীক্ষার জন্য লালারস দিয়েও সরকারী নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে খোদ বিধায়ক, পজেটিভ আসতেই দিশাহারা শাসক দল। চিন্তায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা তৃণমূল নেতা-কর্মী থেকে সাংবাদিকরাও । চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কোন্নগরের কানাইপুর এলাকার । এই এলাকাতেই নৈটি রোডের পাশে মঙ্গলবার ২১ শে জুলাইয়ের শহীদ দিবস পালনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় । উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় , চন্ডীতলা ও জাঙ্গীপাড়ার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার এবং স্নেহাশীষ চক্রবর্তী , দলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব, যুব সভাপতি শান্তনু ব্যানার্জী সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য এদের মধ্যে জাঙ্গীপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশীষ চক্রবর্তী করোনা সন্দেহজনক হওয়ার পরও সেখানে সকলের সাথে বসে ছিলেন । শুধু সন্দেহজনক নয়। করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর গাড়ীর চালক , দেহরক্ষী সহ গোটা পরিবারের লালারস সংগ্রহও করা হয় । এদিন রাতেই আসা রিপোর্টে জানা যায় , বিধায়ক সহ তাঁর স্ত্রী-পুত্র , শ্বশুর-শাশুড়ি , দেহরক্ষী ও গাড়ির চালক করোনা পজেটিভ। বুধবার সকালে এই খবর ছড়িয়ে পরতেই গোটা জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে এদিন কানাইপুরে বিধায়কের বাড়ি স্যানিটাইজ করা হয়। যদিও করোনা টেস্টের জন্য লালারস দেওয়ার পর রিপোর্ট আসা পর্যন্ত যে কারোর নিভৃতবাসে থাকার কথা। তাহলে স্নেহাশীষবাবু কেনো দলীয় অনুষ্ঠানে গেলেন ? শুধুই কি উনি বিধায়ক বলে ক্ষমতার অপব্যবহার করলেন ? বর্তমানে যার খেসারত দিতে হবে সেদিন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্নেহাশীষের সংস্পর্শে আসা সকলকে! আর এই ঘটনা থেকে যদি দিল্লীর নিজামুদ্দিন কান্ডের পুনরাবৃত্তি হয় , তাহলে তার দায় কে নেবে ?