এই মুহূর্তে জেলা

আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে দুর্নীতির ঘটনার জেরে দল থেকে সাসপেন্ড করা হল ৩ জনকে। ২ জনকে শোকজ। জানালেন মন্ত্রী অরূপ রায়।

হাওড়া , ১০ জুলাই:- আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ভুয়ো নাম নিয়ে কিছুদিন আগেই সরগরম ছিল বাংলার রাজনীতি। অনেক ক্ষেত্রেই আমফানের ক্ষতিপূরণ তালিকায় দুর্নীতি ও স্বজনপোষণেরও অভিযোগ উঠেছিল। তালিকায় এমন অনেকেরই নাম ছিল যারা বিত্তশালী, এমনকি কোনওভাবেই তাঁরা আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। হাওড়া জেলাতেও এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপরই সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, মাকড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, উত্তর ঝাঁপড়দহ ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ পাঁচজনকে শোকজ করা হয়েছিল। এদের মধ্যে সাঁকরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে এবার দল থেকে সাসপেন্ড করা হল। শুক্রবার সকালে হাওড়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায় একথা জানান।

তিনি বলেন, এছাড়াও পাতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু ও উত্তর ঝাঁপড়দহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী সুমন ঘোষালকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যতদিন তদন্ত চলবে ততদিন এরা সাসপেন্ড থাকবেন। এরা যদি অবিলম্বে পদত্যাগ না করেন তাহলে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও বড়গাছিয়া ২ নং অঞ্চল প্রধান শবনম সুলতানা ও জগৎবল্লভপুর ১ নং অঞ্চলের উপপ্রধান শেখ নুর হোসেনকে শোকজ করা হয়েছে বলেও অরূপ রায় সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বা মা মাটি মানুষের সরকার কোনওভাবেই দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়না। প্রশ্র‍য় দেবেনা। দুর্নীতির অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে এসেছে দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। আগামী দিনেও ব্যবস্থা নেবে। যারা আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। তারজন্য জেলা প্রশাসন এবং সরকার সচেতন।