এই মুহূর্তে জেলা

জামাই বরণে বরণডালায় সবকিছু বাতিল করে শুধু গ্লাভস , মাস্ক আর স্যানিটাইজার।


নদিয়া, ৩ জুলাই:- লকডাউনের আগেই পাকা কথা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাধা পড়েছিল লক ডাউন। এবার লকডাউন কিছুটা শিথিল হবার সাথে সাথে সরকারি নির্দেশ মেনে বাতিল হয় পর পর দুটি বিয়ের তারিখ। আর দেরি নয় ! শুভ কাজ তাড়াতাড়ি , প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চার হাত এক করলেন পুরোহিত মনোতোষ চক্রবর্তী । অবশ্য তার প্রথম শর্ত ছিলো মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে প্রত্যেককেই তবেই হবে শুভ পরিনয় । সকলে রাজি হয়েছিল। তাই সেইমত বিয়ে পড়াতে পুরোহিত রাজি হয়ে গেলেন। নদীয়ার গোবিন্দপুর ঘোষপাড়া বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ঘোষ বটতলায় নিজ বাসভবনে ঘোষপাড়ার সকল মহিলারা জামাই বরণ ডালায় তুলে নিলেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক। শ্যালক শালিকারা প্রধান দরজা আটকানোর রীতির উদ্দেশ্যই ছিলো বরযাত্রী সহ সকল আমন্ত্রিত দের মুখে মাস্ক আছে কিনা তা দেখার জন্য।

পরিবারের ক্ষুদে সদস্যরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর বোতল নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেলো। ছাতনাতলা থেকে খাওয়ার জায়গা সবখানেই বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধির কথা লেখা। ভিড় করে বিয়ে দেখা তাও বন্ধ । ছাতনা তলার পাশে দশটি চক দিয়ে গোল করে দেওয়া হল। তবে বিয়ে দেখতে সুযোগ পাবেন অন্যরা। পাত্রী দীপান্বিতার বন্ধু-বান্ধবী আত্মীয় পরিজন সকলেই গুটি গুটি পায়ে প্রথমেই খাবার টেবিলে , তারা জানালেন সন্ধ্যায় খাওয়ার অভ্যাস নেই তবুও ভিড় এড়াতে এটাই একমাত্র সহজ উপায়। সেজে গুজে মেকআপ করে সেলফি তোলার সময়ও চোখে পড়লো সকলের মুখবন্ধন। ক্যাটারিং স্টাফ, মাইক লাইট নিয়ন্ত্রণকারী সকলেই সজাগ করোনা আতঙ্কে। নদীয়ার বাহাদুরপুর এর পাত্র সুভাশীষ ঘোষ অনুপ্রাণিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন বউ ভাতে শ্বশুরবাড়ির স্বাস্থ্যবিধির সচেতনতা কে টেক্কা দিতে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যাবস্থা রাখবেন তিনি। খাদ্য তালিকাতেও যোগ হতে পারে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর জন্য আগে ভাগেই চিন্তা শুরু করেছেন পাত্র শুভাশিস ও তার পরিবার।