হাওড়া , ২৯ নভেম্বর:- কৃষিবিল সহ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার হাওড়ায় মিছিল করেছিল তৃণমূল। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান অরূপ রায়। এর মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে রবিবার বিকেলে শিবপুর কাজীপাড়া থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত একই ইস্যুতে তৃণমূলের উদ্যোগে আরেকটি মিছিল হল। এদিনের এই মিছিলে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক অংশ নেন। মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস ও হাওড়া জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ রবিবার এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন মধ্য হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র ডাঃ রথীন চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পুরপিতা বিশ্বনাথ দাস, কল্যাণী সরকার, পার্থজিৎ ঘোষ, দিলীপ ঘোষ প্রমুখ।
প্রাক্তন মেয়র ডাঃ রথীন চক্রবর্তী বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি, অমানবিক মূল্যবৃদ্ধি ও কৃষি বিলের প্রতিবাদে এই মিছিল। মাননীয়া নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের এই জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদের ভাষা রচনা করেছেন তাতে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ যুব সমাজ আজকে এগিয়ে এসেছেন। আজকের প্রতিবাদ মিছিলে সমবেত হয়েছেন। আমরা চাই প্রতিবাদের এই আওয়াজ দিল্লি পর্যন্ত যেন পৌঁছায়। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারজন্যই আমরা আজ হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছি। আজকে এই মিছিল আমাদের ভাষাকে পৌঁছে দেবে।” সাংবাদিকেরা রথীনবাবুকে প্রশ্ন করেন, এই মিছিলকে দল স্বীকৃতি দেয়না এবং এটি ‘অবৈধ’ ও ‘বিক্ষুদ্ধ’দের মিছিল বলে দলেরই একাংশ অভিযোগ তুলেছেন। এর উত্তরে রথীনবাবু বলেন, “আমরা কোনও জিনিসেই অনিয়ম করিনা। আমরা আমাদের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে মিছিলের বিষয় পৌঁছে দিয়েছি। আমরা আমাদের দলের উচ্চ নেতৃত্বকে যথাসময়ে যথাস্থানে জানিয়েছি। তাদের সম্মতি নিয়ে তাদের জ্ঞাতার্থেই আজকের এই মিছিল করেছি। তাদের সম্মতি ছাড়া আমরা কোনও কাজ করিনা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমরা সহকর্মী। আমরা কেউ বিক্ষুব্ধ নই। আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী।” অন্যদিকে, এদিন রবিবার শিবপুর কাজীপাড়া থেকে যে মিছিল হয় সেই মিছিলের জন্য ‘দলের অনুমোদন নেই’ বলে সাফ জানিয়ে দেন হাওড়া সদর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়। এদিন অরূপবাবু এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দলেরই কিছু কর্মী বিক্ষিপ্তভাবে এই মিছিল করেছেন। পুরো বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানানো হচ্ছে। অন্যদিকে, শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি শনিবার রাতে সংবাদমাধ্যমে তাঁদের দলে পিকে’র কর্তৃত্ত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি সাফ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের চিন্তাভাবনায় কাজ করলে সফলতা পাবেন। কিন্তু পিকের মতো কাউকে এনে কাজ করালে সাফল্য আসবে না। তবে এই বিষয়ে অরূপবাবু বলেন, জটুবাবুর ওই মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত মত। এটা দলের মতামত নয়।