এই মুহূর্তে জেলা

উত্তর হাওড়ায় জলসঙ্কট মেটাতে উদ্যোগ পুরসভার। জল সরবারাহ স্বাভাবিক হতে আরও সময় লাগার আশঙ্কা।


হাওড়া , ১৬ জুন:- উত্তর হাওড়ার জল সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ৭ টি ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকাই এখন নির্জলা। মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে এখনও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। সমস্যা কিভাবে দ্রুত মেটানো যায় তার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হতে পারে। আপাতত এখন জলসঙ্কট মেটাতে এলাকায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে পুরসভা। এইচআইটির একটি ভবনের নিচে দিয়ে যাওয়া পাইপ লাইনে ফাটলের ফলে প্রবল বেগে জল বেরিয়ে যাওয়ার কারণে জল পাচ্ছেন না বাসিন্দাদের একাংশ। এইচআইটি’র সূত্রের খবর, ওই ভবনটি বাম আমলে তৈরি। সেই সময় একতলায় ওই ভবনটি তৈরি করা হলেও ব্যবহার করা হয়নি।

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে ভবনটিকে দোতলা করে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, সোমবার এইচআইটির সঙ্গে বৈঠক হয়। মূলত ৪, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডেই সমস্যা বেশি বাকি ওয়ার্ডগুলিতেও কিছু এলাকায় জলের সমস্যা আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই পানীয় জল আসছে না। প্রথমে একবার জল এলেও অল্প সময় পরেই জল আসা বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি ৩, ৪, ৫, ১১, ১২, ১৪, ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় একেবারেই জল পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জল না আসার কারণে সমস্যা হচ্ছে।

নস্করপাড়া রোডের ৭৫০ মিলিমিটার ডায়ামিটারের পাইপ ফেটে যাওয়ার ফলে কার্যত শনিবার সকাল থেকেই ওই ওয়ার্ডগুলিতে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। কেএমসি’র ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, ভবনের তলায় থাকা পাইপ মেরামত করা যাবে না। তাই ভবনের আগে থেকে পাইপ ঘুরিয়ে অন্য পথে নিয়ে যেতে হবে। যা করতে বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর বাপি মান্না জানান, সোমবার কেএমসি’র ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে যান। ভবনটির যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তাই পাইপ লাইনটি ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কেএমসি’র ইঞ্জিনিয়াররা ওই ভবনটির নিচের অংশটি বাদ দিয়ে মাটি খুঁড়ে পাইপটিকে কিছুটা ঘুরিয়ে নিয়ে গিয়ে কিছুটা দূরে মূল পাইপলাইনের সাথে মিলিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। এতেই সময় লাগার সম্ভাবনা রয়েছে।