শুক্রবার সকালে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতেই ভাসল হাওড়া পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিনই বৈঠকে বসেন হাওড়ার জেলাশাসক, পুর কমিশনার, সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, গ্রামীন এলাকার বিধায়করা সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন তাঁরা। শহরের নিকাশি নালাগুলি প্রধানত কয়েকটি সেচ খালের সাথে যুক্ত। সেই সেচ খালগুলির জলবহন ক্ষমতা কমে গেলে শহরের নিকাশি নালাগুলি উপচে পড়ে। ফলে শহরের নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে হাওড়ার পচাখাল, স্বর্ণময়ী খাল, ঘুঘুপাড়া খাল সহ কয়েকটি নিকাশি খালের সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই খালগুলির পলি তুলে নাব্যতা বাড়িয়ে জলবহন ক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, কয়েকটি খালের সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে,
বাকিগুলোর কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। এইসব সেচখালগুলি অনেক জায়গায় পানায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। এই কাজে হাওড়া পুরসভার সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করবে সেচ দপ্তর। শহরের ছোট-বড় ড্রেনগুলিতে জমে থাকা পলি তুলে ফেলে জলবহনের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে, এদিন সকালে প্রায় ঘন্টা দু’য়েক টানা ভারী বৃষ্টি হয়। এর জেরে হাওড়া শহরের বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। হাওড়ার পঞ্চাননতলা, বেলিলিয়াস রোড, বেনারস রোড, ইস্ট ওয়েস্ট বাইপাস, টিকিয়াপাড়া, জিটি রোডের বেশ কিছু অংশ জলমগ্ন হয়। এছাড়াও বেনারস রোডের কামিনী স্কুল লেন, ঘোষপাড়া, মহীনাথপাড়া, অক্ষয় চ্যাটার্জ্জী লেন, ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা, রামকৃষ্ণ আচার্য লেন, তিনকড়ি নাথ লেন, সীতানাথ বোস লেন সহ ১০ নং ওয়ার্ড এদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়।হাওড়া পুরসভা সূত্রের খবর, জমা জল সরাতে পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা চলছে। অনেক এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে।