এই মুহূর্তে জেলা

বিনামূল্যের রেশনের চাল গ্রাহকদের কাছ থেকে কম দামে কিনে চড়া দামে খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ। হাওড়ায় গ্রেফতার তিন।

হাওড়া ,১০ জুন:- করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশনের চাল গ্রাহকদের কাছ থেকে কম দামে কিনে চড়া দামে খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগে দুই গমকল মালিক সহ হাওড়ায় থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের রেশনের চাল এরা কিনছিলেন কম দামে। পরে সেই চাল বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল বেশি দামে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার হাওড়ায় জেলা এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা দাশনগর এলাকার দুটি গমকলের গুদামে অভিযান চালান। সেখান থেকে মোট ৩২ বস্তা রেশনের জন্য বিলি করা চাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই ঘটনায় দুই গমকলের মালিক দুই ভাই কৃষ্ণ দাস ও মিলন দাস সহ গ্রেফতার হয় মোট ৩ জন। ধৃতদের মধ্যে অন্যজন ভ্যানচালক বলে পুলিশ জানিয়েছে। কৃষ্ণবাবুর গুদাম থেকে ৪৮৫ কেজি ও মিলনবাবুর গুদোম থেকে ৯৪৫ কেজি চাল উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দাশনগর থানা এলাকার বালিটিকুরিতে ওই দুই গমকল মালিক চালের কালোবাজারি চালাচ্ছিল। অভিযোগ,

তারা দীর্ঘদিন ধরেই সাধারণ মানুষের কাছ থেকে রেশনের বিনামূল্যের চাল কিনছিলেন। যে চাল রেশনে সরবরাহ করতে সরকার কেজি প্রতি প্রায় ৩৫ টাকা ভর্তুকি দেয় , সেই চাল গ্রাহকদের কাছ থেকে ১০-১২ টাকা কেজি দরে কিনে তা চড়া দামে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিতেন এই কালোবাজারিরা। বিশেষ সুত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা এনফোর্সমেন্ট আধিকারিকরা স্থানীয় দাশনগর থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই গমকল দুটিতে হানা দেয়। সেই দুই গুদামে রাখা মোট ৩২ বস্তায় থাকা প্রায় দেড় হাজার কেজি চাল বাজেয়াপ্ত করা হয়। স্থানীয় বাসন্দারা জানান, প্রায় প্রতিদিনই গাড়ি ভর্তি চাল বিভিন্ন জায়গায় পাচার হত।এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের আধিকারিকরা যখন এদের দোকানে অভিযান চালায়, ঠিক সেই সময় গাড়ি ভর্তি রেশনে বিলি হওয়া চাল পাচার করতে গিয়ে এরা হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। প্রায় ৩ ঘণ্টা দরে চলা এই অভিযানের পর গ্রেফতার করা হয় তাদের।