এই মুহূর্তে খেলাধুলা

বকেয়া বেতনের দাবিতে কোয়েসকে চিঠি লাল-হলুদ ফুটবলারদের।


স্পোর্টস ডেস্ক, ৮ জুন:- করোনা ভাইরাস সহ নানা অজুহাত দেখিয়ে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে বিনিয়োগকারী সংস্থা কোয়েস। ফলে মে মাসের বেতন থেকে বঞ্চিত হন লাল-হলুদের ফুটবলাররা। কোয়েস হাত উঠিয়ে নেওয়ায় ইস্টবেঙ্গলে খেলা বিদেশি ফুটবলারদের লকডাউনের মধ্যেই ফ্ল্যাট খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে লাল-হলুদের সঙ্গে নিজেদের বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছে বেঙ্গালুরুর বিনিয়োগকারী সংস্থা। তবে ইস্টবেঙ্গলের স্পোর্টিং রাইটস নিজেদের হাতেই রেখে দিয়েছে কোয়েস। তা কবে হস্তান্তর করা হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেনি বেঙ্গালুরুর সংস্থা। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন লাল-হলুদ কর্তারা।

কারণ স্পোর্টিং রাইটস ছাড়া কোনও ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। কলকাতা লিগ খেলা থেকেও বঞ্চিত হবে রেঞ্জার্সরা। বকেয়া বেতনের দাবিতে ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার। আর এবার ইস্টবেঙ্গলের পাঁচজন ফুটবলার ২ মাসের বকেয়া বেতন চেয়ে কোয়েসকে চিঠি পাঠাল। চুক্তি অনুযায়ী চলতি মরশুমের শেষ পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের বেতন দেওয়ার দায়িত্ব কোয়েসের। ৩১ মে পর্যন্ত বেতন পাওয়ার কথা ফুটবলারদের। কিন্তু কোয়েসের তরফে লাল-হলুদ খেলোয়াড়দের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৩০ এপ্রিলেই শেষ হয়েছে চুক্তি। তাই মে মাসের পারিশ্রমিক পাবেন না ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা।

বকেয়া বেতনের দাবিতে ফুটবল প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া বা এফপিএআই-র দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের কয়েকজন ফুটবলার। তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে কোয়েসের সঙ্গে কথা বলেও সমস্যার সুরাহা করতে পারেনি এফপিএআই। তাই এআইএফএফ-র দরজায় কড়া নাড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।সূত্রের খবর অভিষেক আম্বেকর, পিন্টু মহতা, রক্ষিত ডাগার সহ ইস্টবেঙ্গলের পাঁচ জন ফুটবলার ২ মাসের বকেয়া বেতন চেয়ে কোয়েসকে চিঠি লিখেছে। ফিফার নিয়মকে সামনে রেখে দাবি মানা না হলে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চুক্তিভঙ্গ করে ক্ষতিপূরণ চাওয়ার হুমকি দিয়েছেন ওই ফুটবলাররা। সেক্ষেত্রে ফ্রি এজেন্ট কোটায় অন্য ক্লাবে সই করতেও যে তাঁরা পিছপা হবেন না, তাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক আম্বেকর, পিন্টু মহতারা। ফুটবলাররা মিউচুয়াল টার্মিনেশন এগ্রিমেন্টে সই করেছেন বলে দাবি কোয়েস ও ইস্টবেঙ্গলের। তারপরেও কোনও ফুটবলার যদি ফিফা, এআইএফএফ বা সিএএসে আবেদন করতে চান, তাঁকে সেই স্বাধীনতা দেওয়া হবে বলেও ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে।