স্পোর্টস ডেস্ক, ২ মে:- দেশে লকডাউন কিছুটা হালকা হতেই পরের মরসুমের বাংলার দল নির্বাচন নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিল সিএবি। গত মরসুমে রঞ্জি টুর্নামেন্টের ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে অল্প রানের ব্যবধানে হেরে গেলেও, গোটা মরসুমে যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছিল অভিমন্যু অ্যান্ড কোম্পানি। বাংলার ছেলেদের যে কোনও পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য চাঙ্গা করতে অবিশ্বাস্য ভূমিকা পালন করেছেন কোচ অরুণলাল। তাই বাংলা সিনিয়র দলের কোচের ক্ষেত্রে কোনও বদল করা হল না। অরুণ লালের হাতেই যে দলের দায়িত্ব থাকবে সেটা আগে থেকেই জানা ছিল। সোমবার সেই বিষয়ে সিলমোহর দিয়ে দিলেন সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া। শুধু তাই নয়। সাপোর্ট স্টাফের ক্ষেত্রেও কোনও রদবদল ঘটেনি। অর্থাৎ স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে উৎপল চ্যাটার্জী থেকে যাওয়ার পাশাপাশি বোলিং কোচ হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন রণদেব বসু। বোলিং কোচ হিসেবে মনোজ প্রভাকরের নাম ঘোরাফেরা করলেও, সিএবি প্রাক্তন বঙ্গ পেসারের উপরই ভরসা রাখল। কারণ, গত রঞ্জি মরসুমে রণদেবের কোচিংয়ে পেস বিভাগ দারুণ পারফরম্যান্স করেছে। পাশাপাশি নতুন উইকেটকিপার তুলে আনার ক্ষেত্রে প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটার দীপ দাশগুপ্তকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তরুণ উইকেটকিপারদের নিয়ে তিনি ক্লিনিক করবেন।
গত মরসুমে মুস্তাক আলী টি-২০ ও বিজয় হাজারে ট্রফিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছিল বঙ্গব্রিগেড। তাই হনুমা বিহারী, করুন নায়ারের মত ভিনরাজ্যের ব্যাটসম্যানদের নেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিল সিএবি। তবে এই দুই ব্যাটসম্যান নন। বরং এদিনের আলোচনায় ভিনরাজ্যের অন্য একজন ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে। সিএবি সভাপতি বলেছেন, “করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গ ক্রিকেটের রূপরেখা নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এবং আশাকরি এই আলোচনার ফল সুদূরপ্রসারী হবে।”
সোমবার থেকে খাতায়-কলমে নতুন ইনিংস শুরু করলেও, লকডাউনের এই সময় অন-লাইনে ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন কোচ অরুণ লাল। ব্যাটসম্যানদের অনলাইনে ট্রেনিং করাচ্ছেন ভিভিএস লক্ষ্মণও। এদিন অরুণলাল বলেন, “আমরা নিয়মিত অন-লাইন ট্রেনিং করছি। সকালে পেস বোলারদের নিয়ে ট্রেনিংয়ের পর বিকেলে স্পিনারদের নিয়ে আমাদের ফিজিও ট্রেনিং করছে। ভিভিএস লক্ষ্মণ মাঝেমধ্যে অন-লাইন ক্লাসে ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করছে। আসলে যতদিন না মাঠে নামতে পারছি ততদিন আমাদের এভাবেই ধীরে ধীরে এগোতে হবে।”