কোচবিহার,৩ মে:- মানব জাতির শত্রু করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে দীর্ঘ লকডাউন। তার জেরে বন্ধ কলকারখানা-অফিস-দোকানপাট প্রায় সব কিছুই। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে একমুঠো অন্ন সংস্থান করতে গিয়েই কার্যত হিমশিম খাচ্ছে সাধারন মানুষ তথা দিন আনা দিন খাওয়া পরিবার। অন্যদিকে,দেশজুড়ে করোনার দাপট অব্যাহত থাকায় লকডাউনের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল মুকুবের দাবিতে প্রতীকী অবস্থানে বসলেন দিনহাটায় বিজেপি শহর মণ্ডল যুবমোর্চার সদস্যরা।
জানা গেছে, এদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত দিনহাটায় বিজেপি শহর মণ্ডল যুবমোর্চার সভাপতি মুন্না সাউয়ের বাড়ির সামনে এই প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অংশ নেন যুব মোর্চার বেশ কয়েকজন নেতৃত্বরা। এদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিনহাটায় বিজেপি শহর মণ্ডল যুবমোর্চার সভাপতি মুন্না সাউ, সংগঠনের যুবমোর্চার সহ-সভাপতি তন্ময় চক্রবর্তী, রাজু মোদক, প্রীতিশ সরকার সহ আরও অনেকে। দিনহাটায় বিজেপি শহর মণ্ডল যুবমোর্চার সভাপতি মুন্না সাউ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের আর্থিক সংকট মারাত্মক জায়গায় পৌঁছেছে। সাধারণ মানুষের খাওয়ার পয়সা নেই, পকেটে পয়সা নেই। এই অবস্থায় কোন পরিবারের পক্ষে ৮০০ বা ১০০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার মতো সামর্থ্য নেই। যখন লকডাউন চলছে এবং সাধারণ মানুষ চরম বেকায়দায় পড়েছে তখন অবশ্যই রাজ্য সরকারের আগামী তিন মাস বিদ্যুৎ বিল মুকুব করা উচিত। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুন্না সাউ।
তিনি আরও বলেন,‘করোনার জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে তা সামান্যই।’ এখনও পর্যন্ত এই করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার মানুষের জন্য একটা কাজও ঠিকঠাক করেনি বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাম ও কংগ্রেসের যৌথভাবে একই দাবী তোলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল মকুবের দাবিতে সরব হয় উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতারা। গত শুক্রবার এই দাবি জানিয়ে জেলা শাসক ও জেলা বিদ্যুৎ দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেয় জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে। তার পর দিনহাটায় গরীব মেহনতি ও দুঃস্থ মানুষের কথা ভেবে দিনহাটায় বিজেপি শহর মণ্ডল যুবমোর্চার সভাপতি মুন্না সাউয়ের বাড়ির সামনে এই প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অংশ নেন যুব মোর্চার বেশ কয়েকজন নেতৃত্বরা।