কলকাতা, ১৮ জানুয়ারি:- সাধারণ মানুষদের জন্য সুখবর। এবার থেকে ফ্ল্যাট কিনতে গেলে সুপারবিল্ড এরিয়া নয়, কার্পেট এরিয়ার ওপর রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্ট্যাম্প ডিউটি নেবে রাজ্য সরকার। বুধবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে রাজ্যের অর্থ দপ্তরের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশন বিভাগ। নবান্নে সূত্রে খবর এবার থেকে রাজ্য সরকার ফ্ল্যাটের বাজার দর অর্থাৎ ভ্যালুয়েশন ঠিক করবে, কার্পেট এরিয়ার ওপর ভিত্তি করবে। ফলে ক্রেতারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে। পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, মেকানিক্যাল গ্যারেজ থাকলে রেজিস্ট্রি ফি –এর সঙ্গে এবার থেকে স্ট্যাম্প ডিউটিও দিতে হবে। এটি আগে দিতে হত না। সাধারণ গ্যারেজের থেকে এই গ্যারেজের পার্থক্য রয়েছে। মেকানিক্যাল গ্যারেজে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে গাড়ি ধোয়ার কাজ করা যায়। এক আধিকারিকের কথায়, সুপার বিল্ড এরিয়ার ওপর ভ্যালু্য়েশন করার ফলে ক্রেতাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হত। যেমন, ফ্ল্যাট কেনাবেচা শুরুর সময়ে কার্পেট এরিয়ার ৫ শতাংশ নিয়ে সুপারবিল্ড বলে ধরা হত, পরে ১০ শতাংশ হয়। এখন লিফ্টের সুবিধাযুক্ত আবাসনে কার্পেট এরিয়ার সঙ্গে আরও ২৫ শতাংশ জুড়ে সুপারবিল্ড এরিয়া ধরা হচ্ছে।
পুরনো ফ্ল্যাট বিক্রি করার সময়ে সুপার বিল্ড এরিয়ার এই তারতম্যে সরকারের ভ্যালুয়েশন করতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মিউটেশন করার সময়ে ফ্ল্যাট মালিককে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সুপার বিল্ড এরিয়া যাতে ৫ শতাংশ আছে, বিক্রি করার সময়ে তা ২৫ শতাংশ ধরা সম্ভব নয়। ফলে জটিলতা তৈরি হচ্ছিল। তাই কার্পেট এরিয়ার ওপর ভ্যালুয়েশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাওড়ার রেজিস্ট্রেশন বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, লিফ্টের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়ম বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ কোনও আবাসনে লিফ্ট থাকলে প্রতি বর্গ ফুটের জন্য রাজ্য সরকারকে ১০০ টাকা করে দিতে হবে। কিন্তু সিঁড়ি বা কমন এরিয়ার জন্য সরকারকে কিছু দিতে হবে না। অর্থ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, নতুন সিদ্ধান্তে সরকারের আয় একটু কমলেও ফ্ল্যাট ক্রেতাদের সুবিধা হবে। কেনাবেচাও বাড়বে। ক্রেডাই–এর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি সুশীল মোহতা জানিয়েছেন, অর্থ দপ্তরকে আমরা অনেক আগেই এই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। নতুন সিদ্ধান্তে তাই আমরাও খুশি।