কোচবিহার,১৮ এপ্রিল;- করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। তার জেরে বিভিন্ন এলাকায় ভিন্ন রাজ্যের মানুষ আটকা পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। প্রথম লকডাউনের মেয়াদ শেষ হতে না হতে দ্বিতীয় বার লকডাউন ঘোষণা করা হয় ১৯ দিনের জন্য। কিন্তু তার জেরে সাধারন মানুষের হাতে যা টাকা পয়সা ছিল তা প্রায় শেষ। কেউ কেউ আবার অর্থাভাবের কারনে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। আর এই সুযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলি ওই অসহায় মানুষ গুলির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। তাদের দৈনন্দিন জীবনে যা প্রয়োজন তা সবে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় শীতলখুঁচি ব্লকের বানিয়াটারি গ্রামে ১০ জোন যাযাবর তারা লকডাউনের কারনে আটকা পড়েছে। তাদের হাতে যা অর্থ ছিল তা শেষ। তাদের সাহায্য করেছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবা ভারতী। ওই সময় যা দিয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে। কথায় আছে “বসে খেলে রাজার ভান্ডার একদিন শেষ হয়ে যায়।” ঠিক তেমনি অবস্থা হয়েছে ওই যাযাবর পরিবারের।
বর্তমান তারা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। লকডাউনের জেরে তারা না পারছে ভিক্ষা করতে, পারচ্ছে না কোথাও যেতে। পাশাপাশি এলাকার জনগণ তাদেরও এই লকডাউন ভাঁড়ারে টান পড়েছে। এমতাবস্থায় ওই ১০ যাযাবর শ্রেণীর মানুষ কার্যত অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। যাযাবরদের মধ্যে এক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়েছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে গতকাল। তারপর থেকে আমরা না খেয়ে এখানে সন্তানদের নিয়ে পড়ে রয়েছি। যেহেতু লকডাউন চলছে, কোথাও যেতে পারছি না। এখানে কাউকে চিনিও না যে তাদের কাছে ত্রান চাইব। তাই স্থানীয় দুই দাদাকে বিষয়টি জানিয়েছি। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, লকডাউনের পর থেকে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়েছি। আমাদেরই খাবার জটেনা। তার উপর এলাকায় বাহিরের ১০ জোন যাযাবর রয়েছে তারা অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। তাদের দেখে মায়া হচ্ছে। কিন্তু কি করব আমরা আমাদের খাবার জোগাড় করতে পারছি না। আমরা এখানে না পাচ্ছি কনা তারা সরকারি সাহায্য বা অন্য কোন স্থান থেকে খাবার জন্য চাল টুকু পাচ্ছে না। কয়েকদিন সেবা ভারতী পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে কিছু করে চাল তারা দিয়েছিল তা শেষ হয়ে গেছে। আমরা যেমন অসহায় তার পাশাপাশি তারা কয়েকদিন ধরে না খেয়েই অর্ধাহারে আছে। প্রশাসনের কাছে আর্জি আমাদের ও ওই যাযাবর পরিবারের কথা ভেবে আর্থিক ভাবে সাহায্য নয়তো ত্রানের কিছু খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার আবেদন রাখি।