এই মুহূর্তে জেলা

বিপজ্জনক ছিলো একটি। কিন্তু কোপ গিয়ে পড়লো আরও দুটির ঘারে। যার মধ্যে একটির প্রায় সলিল সমাধি।

সুদীপ দাস,১১ এপ্রিল:- বিপজ্জনক ছিলো একটি। কিন্তু কোপ গিয়ে পড়লো আরও দুটির ঘারে। যার মধ্যে একটির প্রায় সলিল সমাধি। আর একটি কঙ্কাল সার চেহারা নিয়ে কোনভাবে দাঁড়িয়ে রইলো। লকডাউনের মধ্যেই বিপজ্জনকের আখ্যা দিয়ে কাটা হলো একের পর এক সুবিশাল গাছ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি চুঁচুড়া থানার চকবাজার এলাকার। ওই এলাকাতেই রাস্তার দুপারে রয়েছে পঃ বঙ্গ সরকারের গর্ভমেন্ট ট্রেনিং কলেজের দুটি ভবন। একপাশের ভবনে থাকা একটি বটগাছের গোড়ায় থাকা কলেজের পরিত্যক্ত চেয়ার-টেবিলে দিন কয়েক আগে আগুন লাগে। সেই আগুনই ছড়িয়ে পরে বটগাছে। গভীর রাত পর্যন্ত দুটি দমকল ইঞ্জিনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রনে এলেও পরের দিন আবার দুদফায় গাছ থেকে আগুন বের হতে থাকে। সেসময় আবার দমকল গিয়ে আগন নেভায়। তবে আগুনের তীব্রতায় গাছটির ব্যাপক ক্ষতি হয়।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                           বেশকয়েকটি ডাল যখন-তখন ভেঙে পরার উপক্রম হয়। নীচেই রয়েছে বাজার। প্রসঙ্গত বছর কয়েক আগে এমনিতেই ওই বটগাছের ডাল ভেঙে দু-দুজন মানুষের প্রান যায়। এহেন পরিস্থিতিতে ওই গাছটির বিপজ্জনক অংশ ছেটে ফেলতে স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা এলাকার কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাসের দ্বারস্থ হন। ঝন্টুবাবু কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে গাছটির বিপজ্জনক অংশ ছাটার ব্যাবস্থা করেন। কিন্তু আজ সেখানে গিয়ে দেখা গেলো বটগাছটি তো বটেই তার পাশাপাশি রাস্তার অন্য পারে কলেজের ভিন্ন ভবনের ভিতরে অবস্থিত আরও দুটি গাছ কাটা চলছে। যার মধ্যে বাবুল গাছটি সম্পূর্ণ কাটা হয়ে গেছে। আর তার পাশে নিম গাছটির মাথায় দড়ি বাঁধা। আমরা না পৌঁছলে হয়তো শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতো। এরপরও যারা গাছ কাটছিলেন তাঁদের বক্তব্য গাছগুলি শুধু ছাটা হয়েছে।বাবুল গাছটি পুরো কাটা হয়ে গেছে। গোরা থেকে কয়েক ফুট দাঁড়িয়ে আছে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                               সেটার প্রশ্নেও তারা বলেন ওটাও নাকি ছাটা হয়েছে। সেটা থেকে নাকি আমার ডাল বেরোবে। ব্যাবসায়ী সমিতিরও বক্তব্য শুধু বটগাছ নয়, সবকটি গাছই নাকি বিপজ্জনক ছিলো। নিম গাছের একটি ডালও নাকি কয়েকদিন আগে ভেঙে রাস্তায় পরেছিলো। অন্যদিকে এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ঝন্টু বিশ্বাস বলেন বটগাছটির বিপজ্জনক অংশ শুধু ছাটার কথা বলা হয়েছিলো। আর নিম গাছটা? সেব্যাপারে ব্যাবসায়ী সমিতির মত ডাল ভেঘে পরা নয়, কাউন্সিলর বলেন নিমগাছের ডাল ইলেকট্রিক তারে ঠেকে ছিলো। এরপর বাবুল গাছের প্রসঙ্গ আসতেই কাউন্সিলর বলেন না ওটা ঠিক হয়নি। যারা কেটেছে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

There is no slider selected or the slider was deleted.