হাওড়া,১৪ মার্চ :- পরীক্ষা দিতে এসে বাড়িতে অ্যাডমিট ফেলে চলে এসেছিলেন উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী এক পরীক্ষার্থী। যখন ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে আসেন তখন তার হাতে সময় ছিল মাত্র দশ মিনিট। সেই সময় কি করে উঠবে ভেবে না পেয়ে ওই ছাত্রী স্কুলের সামনে কান্নাকাটি জুড়ে দেন। খবর আসে গোলাবাড়ি ট্রাফিকের কাছে। রাস্তাতেই তখন ডিউটি দিচ্ছিলেন ট্রাফিকের এএসআই অমিত দাস। খবর পেয়েই তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীর কাছে ছুটে যান। তিনি জানতে পারেন ওই ছাত্রীর বাড়ি হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে। আর ওই ছাত্রীটির ( রোকশার খাতুন ) সিট পড়েছিল সালকিয়া স্কুল রোডে সালকিয়া এ.এস হাই স্কুলে। সঙ্গে সঙ্গেই অমিতবাবু ওই ছাত্রীর বাড়িতে যোগাযোগ করেন।
খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর ভাই ট্রেনে করে সাঁতরাগাছির বাড়ি থেকে অ্যাডমিট নিয়ে স্কুলের দিকে রওনা হন। চলে আসেন টিকিয়াপাড়ায়। এদিকে এএসআই অমিত দাস নিজেও তার বাইক নিয়ে দৌড়ে যান হাওড়ার টিকিয়াপাড়া স্টেশনের কাছে। এরপর সেখান থেকে ওই ছাত্রীর ভাইকে বাইকে বসিয়ে তিনি স্কুলে ছুটে আসেন। এরপরে পরীক্ষাকেন্দ্রের সেন্ট্রাল ইনচার্জের হাতে ওই ছাত্রীর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট তিনি পৌঁছে দেন। ছাত্রীটি নির্বিঘ্নেই এদিন পরীক্ষা দিয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে গোলাবাড়ি ট্রাফিক গার্ডের এএসআই অমিতবাবু জানিয়েছেন এটি তার কর্তব্য। ওই ছাত্রী ঠিকভাবে ঠিক সময়মতো পরীক্ষা দিতে পারায় তিনিও খুশি।