প্রদীপ সাঁতরা,১৩ মার্চ :- করোনা ভাইরাস আতঙ্কের জন্য বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র। আইপিএল সহ একাধিক টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। দর্শকশূন্য গ্যালারিতে খেলা আয়োজন করার কথা বলেছে কেন্দ্র। তবুও শুক্রবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হল রাজ্য সরকারের ‘খেলরত্ন’ পুরস্কার অনুষ্ঠান। এদিন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সম্মান প্রদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে তিনি জানালেন, রাজ্য সরকার হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম প্রয়াত কিংবদন্তী ফুটবলার শৈলেন মান্নার নামে নামকরণ করতে চায়। সেইজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশও দেন মমতা। একইসঙ্গে তিনি এদিন মোহনবাগানকে ক্লাবকে আই লিগ জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। সংবর্ধনা দেওয়া হয় মোহনবাগানকে।
সচিব সৃঞ্জয় বসু, অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত, সহ সচিব সত্যজিৎ চ্যাটার্জি, ফুটবল সচিব স্বপন ব্যানার্জি সহ গোটা দল হাজির ছিল নেতাজি ইন্ডোরে। পাশাপাশি শতবর্ষে পদার্পণের জন্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকেও শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন কেন্দ্রীয় নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘আজ আমাদের অনুষ্ঠান বাতিল করা যায়নি। কেন্দ্র জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে করোনার জন্য। এটা নিয়ে আমরা বৈঠকও করেছি। বড় খেলাগুলি ফাঁকা স্টেডিয়ামে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এগুলি নিয়ে আজ বিকেলে ক্লাবগুলোর সঙ্গে বৈঠক করব।’ এদিন রাজ্যের ২৬ হাজার ক্লাবের প্রতিনিধি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ক্লাবগুলি সমাজগঠনে দায়িত্ব নেবে। কুৎসার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সামাজিক উন্নয়নে শামিল হোন। সরকার সবরকম সাহায্য করবে। সরকারি সাহায্যের টাকা পৌঁছে যাবে। ডিজিপি ও পুলিশ কমিশনারের মাধ্যমে টাকা পেয়ে যাবেন। ক্লাবই পারে এলাকা শান্ত রাখতে।’
এদিন তিনি মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান স্পোর্টিং সহ ময়দানের একাধিক ক্লাবের ভূয়সী প্রশংসা করেন বাংলার খেলার মানকে উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, ‘আগে তিন ক্লাবকে ৫০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আজ তাদের ২১ লক্ষ টাকা টোকেন হিসাবে দেওয়া হচ্ছে খেলাধুলোর উন্নয়নের জন্য। বাংলার খেলাধুলো এই ক্লাবগুলিকে ছাড়া ভাবা যায় না। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডান ছাড়া বাংলার ফুটবল ভাবা যায় নাকি। ভারতের ফুটবলেও এদের অবদান অসীম।’ এটিকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ নিয়েও মোহনবাগানের ভূমিকার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ওরা নিজেদের সমস্যা সমাধান করে নিয়েছে। আই লিগ জয়ের জন্য ওদের অভিনন্দন।’ পাশাপাশি শতবর্ষে পা রাখার জন্য ইস্টবেঙ্গলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, শতবর্ষের স্মারক একটি গেট তৈরির জন্য ক্লাবকে পরামর্শ দিয়েছি। ওরা করতে চাইলে সরকার সাহায্য করবে।