অঞ্জন চ্যাটার্জি,১০ মার্চ:- চ্যাম্পিয়ন হয়ে আনন্দে গা ভাসাচ্ছেন না ভিকুনা । ভিকুনাকে কলকাতা ময়দান কী নামে ডাকতে পারে। ম্যাজিশিয়ান, প্রত্যাবর্তন কিং, স্বপের কাণ্ডারি। এমন অজস্র শব্দভান্ডারেও মোড়া যাবে না কিৱুকে। যেন চ্যাম্পিয়ন তো হওয়ারই কথা এতে এত বাড়তি আবেগ ঝরানোর কী আছে। ডুরান্ড হাতছাড়া হওয়ার পরও যেমন ভেঙে পড়েননি । চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেন তেমন কোনো উচ্ছ্বাসা নেই। এমন সুন্দর সুইচ অফ ও সুইচ অন করা কোচ খুব কম দেখেছে কলকাতা ময়দান। শধু একবাব় ফুটবলারদের পাগলামোতে মাঠ ঘুরলেন কিৱু । মুখে একগাল হাসি নিয়ে বেশ এইটুকুই । সাংবাদিক সম্মেলনে এসেও কোনো চ্যাম্পিয়ন সুলভ মানসিকতা নেই। বরং এখনো জেতার তাগিদ। কিৱু তার সাফল্যের মন্ত্র হিসেবে বলেন, যখন খারাপ সময় যাচ্ছিল তখন বলেছিলাম আস্থা হারিও না।
আমরা ঠিক ঘুরে দাঁড়াব। আর যখন জিতছিলাম তখন ছেলেদের বলেছিলাম ম্যাচ বাই ম্যাচ ধরে এগিযে যাও। চ্যাম্পিয়ন হতে হবে এমন মানসিকতা রেখো না। এই জয় টিমের জয়। পরের ম্যাচ ডার্বি। সেই ব্যাপারে এই মৃদুভাসী স্প্যানিশ কোচের মন্তব্য, ডার্বি তো আবেগের ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ বটেই। তবে শধু ডার্বি কেন বাকি প্রত্যেকটা ম্যাচই আমরা জিততে চাই। দলকে সেকথা বলেছি। সেরা ফুটবলটা খেলার কথা। পাপা দিওয়ারা আসায় কি বাড়তি সুবিধা হল ? সেবিষযে কিৱু বলেন, চামারোর ফর্ম খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। তাই ওকে এনেছিলাম। প্রথমে গোল না পেলেও আমার ভরসা ওর ওপর প্রথম থেকেই ছিল। কলকাতা নিয়ে কিৱু আবেগতারিত। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় কাজ করেছি। কলকাতার মতো এত সাপোর্ট সমর্থকদের ভালোবাসা আগে কোথাও আমি পাইনি। তবে পরেরবার এটিকে মোহনবাগানের সংযুক্তিকরণে আইএসএল খেলবে বাগান। কোচ হাবাস ও সহকারী কোচ সঞ্জয় সেনের দুজনেরই চুক্তি বাড়ানো হয়েছে। ফলে এই স্প্যানিশ কোচের যুক্ত থাকার সম্ভবনা প্রায় নেই। বাগান সচিব দেবাশিস দত্তকে এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, দেখা যাক কী করা যায়। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব। এমন কোচ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যেব় ব্যাপার। শধু এমন কোচ নয় এমন দল অতীতে এসেছে কিনা আমার মনে পড়ছে না।