হুগলি,২২ ফেব্রুয়ারি:– টানা আট দিনের চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যার্থ করে শনিবার ভোর পাঁচটায় ঋষভের মৃত্যু ঘোষনা করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এ খবর পাওয়া মাত্রই হাসপাতাল চত্তরেই কান্নায় ভেঙ্গে পরে ঋষভের বাবা সন্তোষ সিং। ভোরেই খবরটা পেয়ে যায় শ্রীরামপুরে ঋষভের বাড়ি পরিবার ও প্রতিবেশীরা। হাসপাতালেই ঋষভের ময়নাতদন্তের পর বেলা সারে বারোটা নাগাদ মৃতদেহ শ্রীরামপুরের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।ততক্ষণে বাড়িতে হাজির কৃষি বিপণন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত সহ জেলার একাধিক বিধায়ক ও পৌর প্রতিনিধি সহ পৌর সদস্যরেরা। মরদের বাড়িতে সামনে রাখা হলে শেষ বারের জন্য একবার দেখতে কান্নায় ভেঙ্গে পরে ঋষভের পরিবারের সদস্যরা,কান্নায় ভেঙ্গে পরে প্রতিবেশীরা। প্রায় মিনিট পাঁচেক মৃতদেহ রাখার পর শ্রীরামপুরের একটি স্বশানের উদ্দেশে মরদের রওনা দেয়। মৃতদেহর গাড়িতে সাথে যান হাজার হাজার মানুষ। স্বশানে যান মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত ,পৌরপ্রধান বিজয় সাগর মিশ্র, অরিন্দম গুঁইন , সভাধিপতি মেহবুব রহমান , সি,আই, সি সুবীর ঘোষ , কর্মাধক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় , তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব। জেলা সাঁতারের সভাপতি মানস রায়। । হাজির হয় বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়।
উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্মশানে যান চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের প্রধান হুমায়ুন কবির। সেখানে মৃত ঋষভের বারা সন্তোষ সিং এর সাথে কথা বলেন । সন্তোষ বাবু ঘাতক পুলকারটির চালক বদল ও অতি মাত্রায় দ্রুত গতিকেই দায়ি করে হুমায়ুন কবিরকে পুরো ঘটনার জন্যে ব্যাবস্থা নিতে বলেন।পাল্টা আশ্বাস দেন পুলিশ কমিশনারেটের প্রধান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সি পি সাহেব জানান মানবিক করনে এখানে আসা।পুলকার নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা বারে বারে বৈঠকে বসছি।এমনকি চালকদেরকেও বৈঠকে ডাকা হচ্ছে।জেলাতে পুলকার নিয়ে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছি। আর এক দিকে এ বিষয়ে মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত জানান এত ভালো চিকিৎসা করেও ওর মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা।হয়তো ওর আয়ু কম ছিল তাই এই ঘটনা ঘটলো।ও যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক। ওর পরিবারের দিকে তাকাতে পারছি না। ঘটনায় প্রশাশন তার মতো কাজ করবে।