জেলা এই মুহূর্তে

সিএএ, এনআরসি নিয়ে হাওড়ায় আন্দোলনের পথে নামছে তৃণমূল।বিজেপিকে কড়া আক্রমণ মন্ত্রী অরূপ রায়ের।

 

হাওড়া,২ ফেব্রুয়ারি:- সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর-র বিরুদ্ধে হাওড়াতেও লাগাতার কর্মসূচি নিল তৃণমূল। ফেব্রুয়ারীর ১ ও ২ তারিখ মিছিল ও জনসভার পর আগামী ৫ তারিখ মানব বন্ধন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। ওইদিন হাওড়ায় বালিখাল থেকে শুরু করে দানেশ শেখ লেন পর্যন্ত হাতে হাত ধরে মানব বন্ধব করা হবে। পরদিন ৬ তারিখ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিটি অঞ্চলে সিএএ, এনআরসি-র বিরুদ্ধে মৌন মিছিল করা হবে। রবিবার বিকেলে হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেলের সামনে সিএএ, এনআরসি বিরোধী এক সভায় এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন দলের জেলা সদর সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায়। এদিন তিনি বলেন, দলনেত্রী আমাদের লাগাতার কর্মসূচি দিয়েছেন। এই ইস্যুতে তৃণমূল হাওড়াতেও লাগাতার আন্দোলন করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন বাংলার মাটি থেকে দেশ থেকে একটা মানুষকেও যেতে দেব না।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                             এই দেশে আমাদের নাগরিকত্ব রয়েছে। আমাদের সকলের থাকার অধিকার রয়েছে। দেশ থেকে কাউকে তাড়ানোর অধিকার মোদী, অমিত শাহদের নেই। অধিকার কেড়ে নেবার ক্ষমতা কারও নেই। এর বিরুদ্ধে আজ সারা দেশেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। আমরা জাতি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের মাটিতে বসবাস করি। এই বাংলায় সব রাজ্যের মানুষের বসবাস রয়েছে। বাংলাকে তাই আমরা মিনি ভারতবর্ষ বলি। আমরা সকলকে নিয়ে একসাথে লড়াই করব। কেউ বিভেদ করতে পারবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মা। আমাদের অভিভাবক। তখন আমাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবে এমন ক্ষমতা কারও নেই। অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলায় আমরা মমতার নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে রয়েছি। আমাদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ভাঁওতা দিয়ে বুজরুকি দিয়ে গিমিক করে কিছু হবে না। বাংলা মমতার নেতৃত্বে এগিয়ে চলবে। মমতা আজ যা ভাবেন সারা ভারতবর্ষ কাল তা ভাবে। ওরা বিভেদ সৃষ্টি করে দাঙ্গা লাগিয়ে ক্ষমতায় আসতে চাইছে। ধর্মের ভিত্তিতে বাংলার মাটিতে কোনও নির্বাচন কখনও হয়নি। এদিন সভার পরে অরূপ রায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেন, “আমরা শুনেছি রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম হয়েছে শান্তিনিকেতনে। এই দিলীপবাবু যদি বিজেপির বাংলার নেতা হন বা প্রতিনিধি হন তাহলে সেই দলের বাংলা সম্পর্কে ধারণাই বা কি হবে ?

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                                                                                 সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাকে চেনেন। বাংলার শিক্ষা, সংস্কৃতি সারা বিশ্বের মানুষ জানেন। এই বাংলা সম্পর্কে এদের ( বিজেপি)এই ধারণা। সুতরাং তারা বাংলা সম্পর্কে কি জানবে। তাদের বাংলা সম্পর্কে কোনও ধারণাই নেই। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সবচেয়ে প্রধান ভূমিকা ছিল এই বাংলার। তারপর পঞ্জাব। বিজেপি বাংলায় বিভেদ করতে চাইছে। তারা কখনোই তা করতে পারবে না। বিভেদ সৃষ্টি করে বাংলাকে ভাগ করা যাবে না। বাংলার ঐক্য, সংহতি, সম্প্রীতি চিরকাল বজায় থাকবে।” এদিন হাওড়া ময়দান মেট্রো চ্যানেলের জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা সুপ্রীতি চট্টোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, সুশোভন চট্টোপাধ্যায়, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, শেখ ইসলামউদ্দিন লালা, মোহম্মদ সেলিম, সৃষ্টিধর ঘোষ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

There is no slider selected or the slider was deleted.