এই মুহূর্তে কলকাতা

করোনা মোকাবিলায় বেহাল কোষাগার , ব্যয় সঙ্কোচের নিদান নবান্নর।

কলকাতা, ১ জুলাই:- করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে স্বাস্থ্য খাতে রাজ্য সরকারের বিপুল পরিমাণে অর্থ খরচ হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্যান্য খাতে খরচ ব্যয় সংকোচ করার পথে হাঁটলো রাজ্য। ৩০ জুন অর্থ দপ্তর এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিধি নিষেধ লাগু থাকবে। এই নির্দেশিকায় সরকারি দপ্তর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও রকম গাড়ি, কম্পিউটার তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, টিভি এবং অফিস সংক্রান্ত সরঞ্জাম কেনার অনুমতি দেওয়া হবে না। স্কুল, কলেজ, গ্রন্থাগার ও হাসপাতালের প্রয়োজনে কোনও বাড়ি তৈরি করা হলে, তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জরুরী ভিত্তিতে কেনা যেতে পারে।

তবে তার জন্য অর্থ দপ্তরের আগাম অনুমোদন প্রয়োজন। কোনও সরকারি দপ্তরের সংস্কার বা সৌন্দর্যায়নের জন্য টাকা খরচ করা যাবে না। জনস্বার্থ ছাড়া কোনও নতুন প্রকল্পে হাত দেওয়া যাবে না। কোনও সরকারি আধিকারিক নিজের চেম্বার মেরামতির কাজও করতে পারবেন না। নতুন করে গাড়ি ভাড়া করা যাবে না। নতুন কর্মী নিয়োগও হবে না। সরকারি আধিকারিকরা অফিসের কাজে বাইরে যাওয়ার জন্য বিমানের ইকনমি ক্লাসই ব্যবহার করতে পারবেন। জিপিএফ থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ লাগু করলো সরকার। পড়াশোনা, বাড়ি কেনা বা মেরামতি এবং চিকিৎসার জন্যই শুধু মাত্র টাকা তোলার অনুমতি দেওয়া হবে। মোটর সাইকেল ও কম্পিউটার কেনার জন্য অগ্রিম দেওয়ার বিষয়টিও এখন বন্ধ থাকছে।

বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া বাবদ খরচ যতটা সম্ভব কমাতে হবে। পূর্ত এবং নগরোন্নয়ন দপ্তর এতদিন অর্থ দপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারতো। নতুন নির্দেশিকায় তা কমিয়ে দেড় কোটি টাকা করা হলো। অন্যান্য দপ্তরকে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচের অনুমোদন দেওয়া হলো। তবে, কোভিড ১৯ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দপ্তর ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারবে। তবে কর্মীদের বেতন, ভাতা এবং পেনশন দেওয়ার ওপরে এই বিধি নিষেধ লাগু হবে না। এছাড়াও রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী, জয় বাংলা, শিক্ষাশ্রী, সামাজিক সুরক্ষা যোজনার মতো সরকারের সামাজিক প্রকল্প গুলির ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।