এই মুহূর্তে জেলা

ঝাড়গ্রামে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ধৃত তিন বৃহন্নলা ,পাঠানো হলো ১৪ দিনের জেল হেফাজতে।

 

ঝাড়গ্রাম,২৫ জানুয়ারি:-  “বাড়ির লোকেদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সদ্যোজাতকে কোলে তুলে নেওয়া, এমনকি বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে মােটা টাকা দাবি করার অভিযোগ দীর্ঘদিন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যা মানবিকতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। এমন একক বৃহন্নলা অত্যাচারের শিকার হতে হল মাত্র এক মাস ২১ দিনের এক শিশুকে। ঘটনা বাড়গ্রামের শিলদার। অভিযোেগ, জোর করে দেড় মাসের সুস্থ পুত্র সন্তান নাচাতে গিয়েই বৃহন্নলাদের হাতে মৃত্যু হয়েছে সুমন খিলারের। এই ঘটনার জেরে শোকে ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা। মৃত শিশুটি জ্যাঠা নটরাজ খিলারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিনপুর থানার পুলিশ তিন বৃহন্নলাকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে।অভিযুক্ত তিন বৃহন্নলাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম আদালত। শনিবার সকালে সুহানা, রুমানা ও রানি মণ্ডল নামে ওই তিনজনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক এডুইন লেপচা ওই নির্দেশ দেন।

There is no slider selected or the slider was deleted.

শিলদার বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক চন্দন খিলারের স্ত্রী তনিমা গত ৪ ডিসেম্বর ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে যমজ পুত্রসন্তান প্রসব করেন। বড় ছেলের নাম রাখা হয় সুমন, ছোটর শোভন। তবে জন্মের পরেই সুমনের হৃদ্‌যন্ত্রে সমস্যা ধরা পড়ে। চন্দনের অভিযোগ, শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তিন জন বৃহন্নলা জোড়া পুত্রসন্তানের জন্য ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। চন্দনের কথায়, ‘‘ওঁরা এমন অশালীন আচরণ করছিলেন যে বাধ্য হয়ে টাকা দিতে রাজি হই। দু’হাজার টাকা এ দিন। আর বাকি টাকা পরে দেব বলেছিলাম।’’ চন্দন বলেন, ‘‘সুমনকে কোলে নিয়ে এক জন বৃহন্নলা এক পাক ঘুরতেই ওর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রথমে শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সেখান থেকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটিতে আনা হয়। তবু বাঁচানো গেল না।’’

There is no slider selected or the slider was deleted.

বৃহন্নলাদের আইনজীবী সুব্রত অধিকারী বলেন, “এফআইআর দেখে মনে হচ্ছে এখানে প্রকৃত তথ্য ধরা হয়নি। আমার মক্কেলদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এইজন্যই জামিনের আবেদন জানিয়েছিলাম। তা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।” অন্যদিকে, মৃত শিশুর পরিবারের আইনজীবী কৌশিক সিনহা বলেন, “যে ঘটনা ঘটেছে তা মারাত্মক। সমাজের যে কোনও কেউ এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে পারেন। জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে ওই তিন বৃহন্নলার কাস্টডি ট্রায়ালের আবেদন করেছিলাম আমরা। আমি মনে করি এ ভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা আদায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ করে বন্ধ করা দরকার।”

There is no slider selected or the slider was deleted.