এই মুহূর্তে খেলাধুলা

দেশের হয়ে সোনা জয় করে ফিরলো মহিলা খোখো দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যা ঈশিতা।

হুগলি,৯ ডিসেম্বর:- একটা সময়ে নিজের মেজো মেয়েকে মাঠে নিয়ে গেলেও ছোট মেয়েকে মাঠের পাশেই বসিয়ে রাখতেন মা। সেই মেয়েই দেশের হয়ে সোনা জয় করে ফিরলো। নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় মহিলা খোখো দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যা ঈশিতা বিশ্বাসকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতলো তার ক্লাব চুঁচুড়ার কোদালিয়া সংঘের সদস্যরা। আজ হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল লোকালে হুগলি স্টেশনে নামতেই ঈশিতাকে বিশাল মালা পড়িয়ে ও জাতীয় পতাকা দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। ব্যান্ড সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে সোনার মেয়েকে নিয়ে আসা হয় ক্লাব প্রাঙ্গনে। চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরের কলমিস্ত্রী গোকূল বিশ্বাস ও একটি মলের কর্মী মীরা বিশ্বাসের তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে ঈশিতা।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                         চুঁচুড়া বালিকা শিক্ষা মন্দিরের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী ঈশিতা মায়ের হাত ধরে দিদির খেলা দেখতে গিয়েই খোখোটা রপ্ত করে ফেলে। ২য় শ্রেনীতে পড়ার সময়ই ঈশিতার প্রথম কোচ রাজেশ দত্ত তার প্রতিভা আঁচ করতে পারেন। রাজেশের হাতেখড়িতেই ঈশিতার গোড়া মজবুত হয়। বর্তমানে কোদালিয়া সংঘের ছাত্রী ঈশিতার কোচ মিঠুন সরকারের প্রশিক্ষনে সে জেলা থেকে রাজ্য, রাজ্য থেকে জাতীয় স্তরে সুনাম অর্জন করে সাউথ এশিয়ান গেমসে ভারতের মহিলা খোখো দলে বাংলা থেকে একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পায়। আর প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্তরে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত ঈশিতার। গত পয়লা ডিসেম্বর থেকে ৪ঠা ডিসেম্বর পর্যন্ত নেপালের কাঠমান্ডুতে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের মধ্যে আয়োজিত সাউথ এশিয়ান গেমসের খোখো প্রতিযোগিতায় তিনটি দেশকে হারিয়ে ভারত এবারের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোরার ঈশিতা বিশ্বাস। আজ হাওড়া স্টেশন থেকে ব্যান্ডেল লোকাল হুগলি স্টেশনে নামতেই ঈশিতা কে নিয়ে উচ্ছ্বাসে মাতে কোদালিয়া সংঘের সদস্যরা। সঙ্গে ছিল ঈশিতার পরিবার। সোনার মেয়ে ঈশিতার বক্তব্য নিজের ক্লাবের কাছ থেকে এতটাও ভালোবাসা পাবো তা আশা করিনি, এটা স্বপ্নাতীত।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                     ঈশিতার কোচ মিঠুন সরকার বলেন আজ আমি সত্যিই খুশি ঈশিতা আমাদের ক্লাবের পাশাপাশি বাংলা তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে। আবেগে চোখ ছল ছল ঈশিতার মায়ের বক্তব্য আজ আমার কষ্ট অনেকটাই সফল হয়েছে, যেদিন আমার মেয়ে অলিম্পিক খেলবে সেদিন আমার স্বপ্ন সার্থক হবে। তিনি বলেন একদিন আমি এই মেয়েকেই মাঠে নামতে দিতাম না। যাদের মেয়ে আছে সেই সমস্ত মা-বাবাদের আমি একটাই কথা বলব কেউ জানো মেয়ে বলে অবহেলা না করে।

There is no slider selected or the slider was deleted.