এই মুহূর্তে জেলা

ফুলশয্যায় রক্তদানের নজির ইতিহাসের দম্পতির।

হুগলি,৮ ডিসেম্বর:- ইতিহাস থেকে আমরা কি জানতে পারি ? প্রাচীনকালের কালের রাজা রাজাদের নানা কীর্তি কাহিনী।যুদ্ধ-বিগ্রহ ও নানা রকম ঘটনা, দিনকাল ও  স্থাপত্য,অর্থনৈতিক অবস্থা সমাজ ব্যবস্থার ইতিহাস । কিন্তু এটা মনে হয় ইতিহাসে আমরা পাইনি ফুলশয্যায় রক্তদান শিবির। এটা মনে হয় নতুন কোনো ইতিহাস তৈরি নবদম্পতির। চুঁচুড়া সিংহিবাগান এলাকায় বসবাস করেন কালনা কলেজের ইতিহাসের অধ্যাপক দীপঙ্কর রায়(৩০) । গত শুক্রবার তিনি বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হয়েছেন সুস্মিতা মান্নার(২৬) সঙ্গে। যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের ছাত্রী গবেষক সুস্মিতার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল এমফিল করতে যাওয়া ইতিহাসের ছাত্র দীপঙ্করের সঙ্গে । সেখান থেকেই ভালোবাসা গড়ে ওঠে তাদের। বর্তমানে একে অপরের আবদ্ধ হয় বিবাহ বন্ধনে । আজ তাদের ফুলশয্যা আর সেই ফুলশয্যার দিনটিকে ইতিহাসের পৃষ্ঠায় তুলে রাখতে তিনি আয়োজন করেছেন রক্তদান শিবিরের ।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                                                                  আর দীপঙ্করের এই ইচ্ছাকে সার্থক করে তুলতে এগিয়ে এসেছে বিয়ে বাড়িতে আসা আত্মীয় কুটুম ও পাড়া-প্রতিবেশীরা সকলে।সকাল থেকেই জমজমাট ফুলশয্যার এই রক্তদানের আসর । ৫০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন এই শিবিরে। এই তালিকায় যে দুটি নাম অবশ্যই আছে তা হল নববধূ সুস্মিতা ও দীপঙ্করের।একদিকে যেমন রক্তদান জীবন দান মানুষের কল্যাণে করা হচ্ছে। তেমনই প্রত্যেক রক্তদাতা এবং ফুলশয্যায় নিমন্ত্রণের প্রতিটি মানুষের হাতেই তুলে দেওয়া হয় গাছের চারা। কারণ গাছ বাঁচলেই প্রানীকূল বাঁচবে। এদিন সুস্মিতার পাশে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর বলেন আমারা বিয়ে বাড়িতে অনেক সময়ই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টাকা খরচা করি, তা না করে যদি পারিবারিক উৎসবের দিনে একটু হলেও সমাজের উপকার করতে পারি তাহলে মন্দ কি! এবিষয়ে নববধু বলেন বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনার সময় দীপঙ্কর আমায় তাঁর এই ইচ্ছা জানিয়েছিলো আমি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ইচ্ছায় সহমত প্রসন করি।

There is no slider selected or the slider was deleted.

                                                                                                                                            সম্পর্কে দীপঙ্করের দাদা অজয় মহান্তি এখানে রক্তদান করে বলেন এটা মহান উদ্যোগ, এভাবে আরও মানুষের এগিয়ে আসাটাই কামনা করি। নবদম্পতির এই প্রচেষ্টা এবং তাদের ইচ্ছা সত্যিই এক নতুন বাতাবরণ তৈরি করল এই বিবাহ অনুষ্ঠানে। এক অন্য ধরনের সাধুবাদ ও আশীর্বাদ জানালো নবদম্পতিকে আগত সকলেই। যাদের মধ্য থেকে বাদ পড়লেন না রক্ত নিতে আসা চুঁচুড়া সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডঃ স্বপন কুমার দলুইও। তিনি বলেন বিয়ে বাড়িতে রক্ত নিতে আসা একটা আলাদা অনুভুতি। এভাবে সকলে এগিয়ে এলে রক্তদানকে ঘিরে নতুন বিপ্লব গড়ে উঠবে।

There is no slider selected or the slider was deleted.