এই মুহূর্তে জেলা

বামেদের লংমার্চে জনজোয়ার।

মোদি সরকারের শিল্পনীতির বিরুদ্ধে শনিবার পথে নামলো বাম শ্রমিক সংগঠন গুলি।মহারাষ্ট্রের ধাঁচেই ডাক দেওয়া হয়েছে লংমার্চের ।পশ্চিম বর্ধমান জেলার চিত্তরঞ্জন থেকে শুরু হয়ে আসানসোল, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর ,পানাগড়, বুদবুদ বাজার,গলসি,বর্ধমান,মেমারি, পাণ্ডুয়া,মগড়া, বাঁশবেড়িয়া, চুঁচুড়া খাদিনামোর, চাঁপদানি , রিষরা হয়ে ১১ই ডিসেম্বর বালি, হাওড়া হয়ে মিছিল পৌঁছবে কলকাতায়।ভিক্টরিয়া হাউসের সামনে সভা করবেন নেতৃত্ব।শনিবার ৫ হাজার কর্মী নিয়ে লংমার্চ শুরু হবে।মহারাষ্ট্রে নাসিক থেকে মুম্বাই পর্যন্ত কিষান লংমার্চের দূরত্ব ছিল ১৮০ কিলোমিটার,পা মিলিয়েছিলেন ৫০হাজার কৃষক, বঙ্গের লংমার্চের দূরত্ব ২৮৩ কিলোমিটার,লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে শেষ দিন যখন কলকাতায় মিছিল পৌঁছবে সেদিন ১ লক্ষ কর্মী সমর্থক পা মেলাবেন। বেঙ্গল কেমিক্যাল, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা, দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা এমনকি কয়লাখনি গুলিকে যেভাবে বেসরকারিকরণ করার কথা ভাবছে মোদি সরকার তার বিরুদ্ধেই গর্জে ওঠা।পাশাপাশি উত্তর বঙ্গের ক্ষেত্রেও নেওয়া হয়েছে পৃথক কর্মসূচি।আলিপুরদুয়ার চা বলয় থেকে শুরু হবে লংমার্চ,মালদহ,উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর,কোচবিহার,জলপাইগুড়ি জেলা থেকে বেরোবে লংমার্চ,১০তারিখ সব মিছিল মিলিত হবে শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে।সেখানে এক বিরাট জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছে।সিটু রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু বলেন “নরেন্দ্র মোদির আর্থিক নীতি ও শিল্পনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এই কর্মসূচি”।বিধান সভা উপনির্বাচনে তিনকেন্দ্রে ভরাডুবি হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোটের।একমাত্র খড়গপুর সদর কেন্দ্র ছাড়া বাকি দুই কেন্দ্র কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরে নজর কাড়তে ব্যর্থ হয়েছেন জোট প্রার্থীরা। যদিও সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন “এই জোটকে ধরে রাখতে হবে,আগামী দিনে এই জোট বাংলায় পথ দেখাবে”।জোটের বার্তা দেখা যাবে ১১তারিখের কলকাতার সভায়।বাম শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পাশাপাশি আসার কথা রয়েছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি সর্বভারতীয় সভাপতি সঞ্জীব রেড্ডির।উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্রের লংমার্চের অন্যতম সংগঠক তথা সর্বভারতীয় কিষান সভার সভাপতি অশোক ধাউলে।লোকসভা ভোটে রাজ্যে বাম কংগ্রেসের খারাপ ফলাফলের পর উপনির্বাচনে জোট করেও আশার আলো দেখা যায়নি।সামনেই পুরভোট,তার আগে শ্রমিকদের লংমার্চের মাধ্যমে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে বাড়তি অক্সিজেন পেতে চাইছে বামেরা।