এই মুহূর্তে জেলা

আমফানে ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধানকে বহিষ্কৃত করলো তৃণমূল।


চিরঞ্জিত ঘোষ , ২০ জুন:- আমফান ঝড়ে ক্ষতিগ্ৰস্থ বাড়ির তলিকায় চন্ডীতলা -২র অধীন গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহ নিজের ফোন নাম্বার দেওয়ায় এবং ক্ষতিপূরনের তালিকায় নিজের স্ত্রীর নাম দেওয়ায়, দলের মধ‍্যেই যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসক দল তৃনমূল। এই খবর প্রকাশ‍্যে আসতেই বিরোধীরা সমালোচনায় সরব হয়েছে। তারপরেই প্রশাশন তৎপর হতে নিজের স্ত্রীর নাম সহ মোট ৯২ জনের নাম বাদ দেন প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহ। শাসক দলের শীর্ষ নেতারা প্রধানকে পদত‍্যাগ করতে বললে, প্রধান পদত্যাগ করেনি। এরপর গতকাল রাজ্য তৃনমূল কংগ্রেস কোলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে দল থেকে প্রধানকে বহি:স্কার করে। জেলা বিজেপি তরফে প্রধানের অপসারণের দাবিতে পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছিল। এরপর আজ প্রধানের বাড়িতে যাওয়া হলে,

প্রধান বলেন, তৃণমূল দল থেকে কোনও শোকজের চিঠি হাতে পাননি। দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠী কোন্দলের স্বীকার হয়েছেন। তাঁকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। দলের উপর আস্হা রয়েছে। প্রকৃত তদন্ত করুক দল। যতদিন বেঁচে থাকবো, ততদিন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে চলবো। ঘটনা নিয়ে প্রধানের স্ত্রী মিনতি সিংহ বলেন, তার বাড়ি লাগোয়া আগরবাতি তৈরির কারখানার শেড আমফানের ঝরে ভেঙে পড়েছিল। সরকারি ক্ষতিপূরণের সাহায্য নিয়ে অনান্যদের সাথে আমি আবেদন জানিয়েছিলাম। পঞ্চায়েত থেকে অনুসন্ধান করে আমার বাড়িতে এসে ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে গত 9ই জুন আমি ক্ষতিপুরণের তালিকা থেকে পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছিলাম। আমার নামে কোনো ক্ষতিপূরণের টাকার চেক ইস্যু করা হয়নি। আমার ব্যাঙ্ক একাউন্টে কোনো সরকারি টাকা ঢোকেনি।