হুগলি, ২ এপ্রিল:- গতকাল দেবানন্দপুরে কর্মি বৈঠকে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বেফাঁস মন্তব্য করেন।কর্মিদের উদ্দেশ্যে তাকে বলতে শোনা যায়, সিঙ্গুরের আন্দোলন নিয়ে আমাকে বলবেন না। বেচা মন্ত্রী স্নেহাশিষ মন্ত্রী ইন্দ্রনীল মন্ত্রী, এদের রাজনীতিতে জন্ম আমার হাতে। বেচা সিপিএম করত। ট্রেড ইউনিয়ন করত হাফ প্যান্ট পরে। আর বিধায়কের এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই সরব হয়েছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি তার ফেসবুক ওয়ালে সেই ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, চরিত্রহীন, লম্পট, তোলাবাজ ও পরহিংসাকারী কিছু ব্যক্তি আমার সম্বন্ধে না জেনে সমাজ মাধ্যমে ওলট-পালট মন্তব্য করছে। যিনি কিনা ২০০২ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দল করতে এসেছেন আর আমি ১৯৯৫ সাল থেকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে রয়েছি। এবং ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের শুরু থেকেই নেত্রীর পাশে আছি। ১৯৯৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে সিঙ্গুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচিত হয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হিসেবে কাজ করেছি।
২০০০ সালে হুগলি জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ২০০৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলি জেলা পরিষদের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। ২০০৩ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০৯ সালে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জনসভা থেকে ঘোষণা করে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডাক্তার রত্না দে নাগের ইলেকশান এজেন্ট হিসেবে নিযুক্ত করেছিলেন। মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিঙ্গুর আন্দোলনের ইতিহাস তো সর্বজনবিদিত।
তাই, এইসব অপ্রকৃতিস্থ ব্যক্তি সমাজ মাধ্যমে মন্তব্য করে দলেরই ক্ষতি করছে। হাফপ্যান্ট পড়ে শ্রমিক হয়ে ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন করাটা কোন অপরাধ নয়। হাফ প্যান্ট পড়া লোকেদেরই ভোটের সময় এইসব মানুষেরা ভোটের জন্য পায়ে ধরে। সিঙ্গুর আন্দোলন করতে গিয়ে বেচারাম মান্না মার খেয়েছে, জেল খেটেছে আর এরা আন্দোলন নামে জেলায় চাঁদা তুলেছে। ২০০৬ সালে ২৫শে সেপ্টেম্বর সিঙ্গুর বিডিও অফিসে ভিতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ কর্মী সমর্থকদের সিপিএমের পুলিশ বাহিনী মারধর করছিল তখন এই নেতারাই পুলিশের কথা শুনে আগেভাগে সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেখে পালিয়ে যায়। বেচারাম মান্না অসিত মজুমদারের আগে থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করছেন তার স্বপক্ষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জয়ের শংসাপত্র ফেসবুকে দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতে পারে বুঝতে পেরেই যদিও আগেভাগেই অসিত মজুমদার তার ফেসবুকে সাফাই দিয়ে রাখেন।যে তিনি কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে এই সমস্ত কথা বলেছেন।