হুগলি, ১৪ ডিসেম্বর:- “টিফোজ ৯৯৯” রকেট নামে সেই পাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল আজ পোলবার সুগন্ধায় সাইনোসোর কারখানায়। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উজ্বল বিশ্বাস, বেচারাম মান্না, জাভেদ আহমেদ খান, হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধারা, বিডিও পোলবা জগদীশ বাড়ুই, সাইনোসোর সংস্থার কর্নধার সম্পূর্না ও সম্রাজ্ঞী ঘোষ সহ বিশিষ্টরা। মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, দেরশ থেকে দুশো জন কর্মি সরাসরি কাজ করছে, ডিলার ও রিটেলার নিয়ে পরোক্ষভাবে কয়েকশ লোকের কর্মসংস্থান হবে। রাজ্য সরকার এই ধরনের এমএসএমই গুলোকে সাহায্য করছে। সাধারন মানুষ স্বল্প মূল্যে পাখা পাবে আবার বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। রকেটের মত ছুটবে টিফোজ পাখা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, প্রযুক্তি এগোচ্ছে তার ফসল ঘরে ঘরে পৌঁছোচ্ছে। টিফোজের বিএলডিসি পাখা আমি নিজে ব্যবহার করেছি খুব ভালো চলছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাভেদ আহমেদ খান বলেন, গরিব নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এই বিএলডিসি পাখা খুবই উপযোগী। কারণ এতে বিদ্যুৎ খরচ খুবই কম। ২৮ ওয়াটের পাখা সারাদিন চললেও বিদ্যুৎ খরচ হবে নাম মাত্র। বাংলায় এই পাখা তৈরী হচ্ছে এটা গর্বের।
সংস্থার অন্যতম কর্নধার সম্পূর্ণা ঘোষ বলেন, বাংলার ঘরে ঘরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিএলডিসি প্রযুক্তির পাখা আমরা তৈরি করছি। এক বছর ধরে আমরা টেস্ট রান করেছি। খুব ভালো সারা পেয়েছি।ভারত সরকার বলে দিয়েছে ফাইভ স্টার ছাড়া পাখা এখন চলবে না। ফাইভ স্টার বিএলডিসি পাখা যেগুলো এখন বাজারে পাওয়া যায় তার দাম প্রচুর। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সেই কারণে আমরা ৯৯৯ টাকায় এই পাখা নিয়ে এসেছি। যেহেতু আমাদের কারখানাতেই এই পাখা তৈরি হচ্ছে তাই আমরা দামটা কম রাখতে পেরেছি। বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা খুবই জরুরী। তাই ভারত সরকারও বলছে বিএলডিসি পাখা ব্যবহার করতে। যাদের বাড়িতে রয়েছে তারা যদি বিএলডিসি পাকা নিতে চান তাহলে পুরনো পাখা এক্সচেঞ্জ করতে পারেন সেই অফারও ডিলারদের দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই ৬২ হাজার পাখা বিক্রি করেছি যার একটারও অভিযোগ আসেনি। এই পাখা বাংলাতেই তৈরী হচ্ছে তাই বাংলার মানুষের মন জয় করবে। দুই শতাধিক কর্মী আমাদের কারখানায় কাজ করছে। আগামী দিনে বিদেশের মার্কেটে ও জায়গা করে নেবে এই পাখা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে ডিলার ডিস্ট্রিবিউটরা এ দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন।