এই মুহূর্তে জেলা

রাজ্যপালকে কাছে পেয়ে আপ্লুত বনমালীদেবী, জানালেন ছেলের মৃত্যু প্রতিটি রাত চোখ ভেজায়।

 

 

হাওড়া,৩ মার্চ:-  এক বছর আগে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা ঘটায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় শহীদ হয়েছিলেন হাওড়ার বাউড়িয়ার চককাশী গ্রামের বাসিন্দা বাবলু সাঁতরা। ঘটনার এক বছর পর মঙ্গলবার তাঁর বাড়িতে আসলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। শোকার্ত পরিবারের পাশে কাটালেন বেশ কিছুটা সময়। গত ৩০ জুলাই কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর জায়গায় রাজ্যপালের দায়িত্বভার নিয়েছিলেন জগদীপ ধনখর। তিনি রাজভবনের গন্ডির মধ্যে নিজেকে আটকে না রেখে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে থাকেন। আর এবার আসলেন শহীদ বাবলু সাঁতরার বাড়িতে। তাঁকে কাছে পেয়ে কেঁদে ফেলেন বাবলুর মা। ছেলে হারানোর বেদনা প্রতিটি সময় মায়ের চোখে জল এনে দেয়। বনমালীদেবীকে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রয়োজন পড়লে আবারও আসবার কথা জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

There is no slider selected or the slider was deleted.

রাজ্যপাল আসবার খবরে বাউড়িয়া এলাকায় বাবলুর বাড়িতে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ জন। দুপুরে চেঙ্গাইল এলাকায় এসে পৌঁছায় রাজ্যপালের কনভয়। শহীদের জওয়ানের বাড়িতে রাজ্যপালকে আতিথেয়তা করেন সন্তান হারানো মা বনমালীদেবী এবং স্বামীকে হারানো স্ত্রী মিতা সাঁতরা। এ দিন মিতার চোখ ছিল ভেজা। মুখ শান্ত। এর আগে মিতা জানিয়েছিলেন, ‘আমি এই চাকরির ভয়াবহতা উপলব্ধি করি, তবুও বদলা তিনি চান না। কারণ, বদলা মানেই যে কারও না কারও কোল খালি হবে’। এ দিন শহীদ জওয়ান বাবলু সাঁতরার প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তারপর বনমালীদেবীর হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। বেশ কিছুক্ষণ সময় শহিদ জওয়ানের বাড়িতেই কাটান তিনি। তারপর চেঙ্গাইল হাই স্কুলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান। তবে যাবার আগে তিনি বলেন, দেশের জন্য বাবলু সাঁতরার অবদান সকলে মনে রাখবে। ওঁনার পরিবারের পাশে সবসময় রয়েছি। বাবলু সাঁতরার বাড়িতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের আসা নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চায়নি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বাবলু সাঁতরার পরিবারের পাশে সবসময় থেকেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ এসেছেন। সান্ত্বনা জানিয়ে গিয়েছেন বনমালীদেবী এবং স্ত্রী মিতা সাঁতরা কে।

There is no slider selected or the slider was deleted.

There is no slider selected or the slider was deleted.