এই মুহূর্তে জেলা

ঝাড়খন্ড থেকে ডাকাতি করতে এসে পুলিশের জালে আট দুষ্কৃতি, আটক আগ্নেয়াস্ত্র কার্তুজ।

হুগলি, ৩ ডিসেম্বর:- পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার রাতে চণ্ডীতলার জনাই চিকরন্ড এলাকায় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়েছে কয়েকজন দুষ্কৃতী, এসটিএফ মারফত খবর পায় পুলিশ। এরপরেই চন্ডীতলা থানার পুলিশ এটিএফ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে সেই এলাকায় গিয়ে জরো হওয়ায় বহিরাগতদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি শুরু করে। পুলিশ তাদের গাড়ি থেকে তিনটি পিস্তল পনেরো রাউন্ড কার্তুজ ভোজালি কয়েকটি গাড়ির নম্বর প্লেট পায়। আজ হুগলি গ্রামীন পুলিশ সুপার অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন। তিনি বলেন, ডাকাতির উদ্দেশ্যে জরো হয়েছিল দুষ্কৃতিরা। তারা হলো সাজ্জাদ আলম (২৮) বিক্কি গৌর ঠাকুর (২৮) সাহিদ আলী (৩৬), সাগর প্রসাদ(৩৬) এদের প্রত্যেকেরই বাড়ি ঝাড়খন্ডে। এছাড়া পুরুলিয়ার বাসিন্দা সনাতন গড়াই, (৩৩) কাজল বাউরি (৩৭) আলম আনসারী (৪০) রাজু চৌধুরী (৪০) এদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পনেরো রাউন্ড কার্তুজ দুটি সেভেন এমএম পিস্তল একটি পাইপ গান একটি ম্যাগাজিন একটি বোলেরো গাড়ি একটি মোটরসাইকেল, দুটি ঝাড়খন্ডের নম্বর প্লেট, ভোজালি, লোহার রড তালা ভাঙ্গার যন্ত্র।

ধৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য এদের পুলিশ হেফাজত নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আগে কোথায় কি কি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাও তদন্ত করে দেখা হবে। এরা প্রত্যেকেই একটি জায়গাতে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে এসেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। দুষ্কৃতীরা মূলত ঝাড়খন্ড ও বাংলার বর্ডার এলাকাতেই অপরাধ করে। অপরাধকে আটকানোর জন্য আমরা বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি করি এর জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় থাকে না। বোলেরো গাড়ি করে এসেছিল দুষ্কৃতীরা এবং যে মোটরসাইকেলটি ব্যবহার করছিল সেই মোটরসাইকেলের নম্বরও বদল করা হয়েছিল। এস টি এফ ও পুলিশ যৌথ তল্লাশি চালিয়ে এই দুষ্কৃতীদের ধরা হয়।