অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়,১১ ডিসেম্বর:- চিন্তা বাড়ল ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। কারণ, নিয়ম ভঙ্গের দায়ে নির্বাসিত হাইমে স্যান্টোস কোলাডো। শোকজের অন্তিম তারিখ ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ। পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আই লিগের প্রথম দুই ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর পর এই জয় নিঃসন্দেহে বাড়িয়েছে দলের মনোভাব। জয়ের সরণীতে ফিরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফলেছেন আপামর লাল-হলুদ জনতা। কিন্তু এই খুশির আমেজের মধ্যে এল দুঃসংবাদ। ডিসেম্বরের ২০ তারিখ পর্যন্ত মাঠে নামতে পারবেন না কোলাডো। সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা (এআইএফএফ)-র শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে এই
সাময়িক নির্বাসনের বিজ্ঞপ্তি। জানা গিয়েছে, পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচে কোলাডোর আচরণে ত্রুটি নজরে পড়েছে কমিটির আধিকারিকদের। যদিও কোন ঘটনার জন্য কোলাডো সাময়িক নির্বাসিত করা হয়েছে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। ডিসেম্বরের ১৩ তারিখ বা তার আগে জবাবদিহি করতে হবে স্প্যানিশ মিডিওকে। যদিও জানুয়ারির ২২ তারিখে আসন্ন ডার্বিতে কোলাডোর খেলার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় যেমন স্বস্তি দিয়েছে লাল-হলুদ প্রশিক্ষক আলেজান্দ্রো মেনেন্দের গার্সিয়াকে, তেমনই খুশি মার্কোস এস্পাদা গোল পাওয়ায়। দলের সঙ্গে দির্ঘ দিন আগেই যোগ দিয়েছিলেন এই বিদেশি স্ট্রাইকার। কিন্তু সে ভাবে সমর্থকদের আস্থা অর্জন করতে পারেননি তিনি। প্রতপক্ষের গোলের সামনেও তাঁকে একাধিকবার নিষ্প্রভ দেখিয়েছে। সমর্থকদের একাংশ লিগ শুরু হওয়ার আগেই তাঁর পরিবর্ত খোঁজার স্বপক্ষে আওয়াজ তুলেছিলেন। সেই এস্পাদাও ফিরেছেন গোলের মধ্যে। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে আলেজান্দ্রো বলেছেন, ;মার্কোস দ্রুত গতি সম্পন্ন স্ট্রাইকার নয় ঠিকই, কিন্তু ওর খেলা দলের জন্য কার্যকরি। আক্রমণ ভাগে অন্যান্য ফুটবলারদের সঙ্গে বোঝাপড়া ভাল। বল দখল নেওয়ার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিশেষ দক্ষতা। ওর খেলা হয়তো নজরকারা নয়, কিন্তু নম্বর ৯ হিসেবে খুব ভাল।