এই মুহূর্তে কলকাতা

আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য থেকে কোভিড বিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।

কলকাতা, ২৪ আগস্ট:- রাজ্য থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোভিডবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। বৃহস্পতিবার ধনধান্যে স্টেডিয়ামে টেলি সম্মান প্রদানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে প্রকাশ্য স্ত্থানে মাস্ক পড়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বা দূরত্ব বিধি মানার মতো বিষয়গুলি আর পালন করার প্রয়োজনীয়তা রইল না। এদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন টেলিভিশন জগতকে কোভিড কালে প্রচুর কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে। ওই সময় সাধারণ মানুষকে মনোরঞ্জন দেওয়ার জন্য তিনি টেলিভিশনের কলা কুশলীদের ধন্যবাদ জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আজ থেকে কোভিডবিধি প্রত্যাহার করা হল।কোভিডের সময় থেকে মানুষকে অনেক কষ্ট পেতে হয়েছে। মানুষ ঘরবন্দি হয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের সামনে কোনও অনুপ্রেরণা ছিল না। তাঁরা সিরিয়াল দেখতেন। আজ থেকে সেই কোভিডবিধি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।’

বৃহস্পতিবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে ‘টেলি আকাদেমি পুরস্কার’ অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে এ কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, টেলিভিশন হল মানুষের মনের দরজা৷’ এ বারের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে জুন মালিয়া এবং সাহেব চট্টোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে পুষ্পস্তবক এবং উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, আর্টিস্ট ফোরামের সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কার্যনির্বাহী সদস্য রানা মিত্র, ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন প্রোডিউসার্স-এর তরফে নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত, অর্কপ্রভ গঙ্গোপাধ্যায়, ফেডারেশন অফ সিনে টেকিনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস এবং যুগ্ম সম্পাদক সুজিত হাজরা। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এ বার মোট ৪১ টি বিভাগে ৬৬ জনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়াও আজীবন স্বীকৃতি, মরণোত্তর স্বীকৃতি, পাদপ্রদীপের তলায় বিভাগেও অভিনন্দন জানানো হচ্ছে এ বার।