এই মুহূর্তে জেলা

একেবারে ভূতুড়ে কারবার চুঁচুড়া বাসস্ট্যান্ডে।

হুগলি, ২৪ আগস্ট:- চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ডে বিভিন্ন রুটের বাসের টাইম অফিস আছে।প্রতিমাসে চুঁচুড়া পুরসভাকে ভাড়াও দেন বাস মালিকরা। দিন দুয়েক ধরে হঠাৎই সেই অফিসগুলোর পিছন দিকের জানালা ভেঙে ইট গেঁথে দেওয়া হয়। বাস মালিকরা পুরসভাকে লিখিত অভিযোগ করেন। কে বা কারা পুরসভার জায়গায় কাউকে না জানিয়ে নির্মানের কাজ করছে। পুরসভার পূর্ত দপ্তরের সিআইসি সৌমিত্র ঘোষ বলেন, বাস মালিকদের অভিযোগ পাওয়ার পর ওখানে কি হচ্ছে দেখতে পাঠানো হয় পুরসভার কর্মি ও ইঞ্জিনিয়ারকে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঘটনাস্থল পরিবর্তন করে পুরসভার কর্মচারীরা জানান, কোনরকম অনুমতি না নিয়েই নির্মাণ কাজ হচ্ছিল। বাসের টাইম অফিসের উপরেই রয়েছে একটি হোটেল তারাই এই কাজ করছিল বলে জানা গেছে। কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। হোটেলের কর্মচারী মহঃ সাহেব বলেন, জানলা ভেঙে ইটের গাঁথনি করা হবে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছিল মালিকদের।

পুরসভার যিনি কেয়ারটেকার বাসস্ট্যান্ডের তাকেও জানানো হয়েছিল। তবে লিখিত কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। বাস মালিক দেবব্রত ভৌমিক বলেন, চুঁচুড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে গোটা পঞ্চাশের বাস এখনো চলে। বিভিন্ন রুটে এই বাঁধগুলো এই টাইম অফিস থেকে টাইম নিয়ে ছাড়ে। টাইম অফিসে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আলমারি রয়েছে। কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ করে পিছন দিকে জানলা ভেঙে ইটের গাঁথনি দেওয়া শুরু হয়। আমরা বুঝে উঠতে পারিনা আজ এই কাজ কারা করছে। রাজমিস্ত্রিদের জিজ্ঞাসা করলে তারাও কিছু বলে না। যেহেতু জায়গাটি পুরসভার আমরা আমরা ভাড়া দিয়ে থাকি তাই পুরসভা কে বিষয়টি জানাই। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় বলেন, একটা বেআইনি কিছু হচ্ছে এই খবর পেয়ে আমাদের ইঞ্জিনিয়ার বাসস্ট্যান্ডে যায়। তারা এসে যা প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে তাতে বেআইনিভাবে নির্মান হচ্ছিল এটা স্পস্ট। যারা এই নির্মাণ করছিল তাদেরকে আমরা নোটিশ করেছি। প্রশাসন কেউ জানাচ্ছি আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।