হাওড়া, ১৮ ডিসেম্বর:- প্রোমোটারকে নয়, সরকারি খাস জমি বেলুড়ের শ্রমজীবী হাসপাতালকে দিতে হবে উঠলো প্রতিবাদ। রবিবার ডানকুনি থেকে সালকিয়া পর্যন্ত এই নিয়ে হলো প্রতিবাদ মিছিল।প্রোমোটারকে নয়, জনস্বার্থে জনস্বাস্থ্যে খাস জমি দিতে হবে শ্রমজীবী হাসপাতালকেই, এই দাবিতে রবিবার পথে নামেন শ্রমজীবী হাসপাতাল সহযোগী মঞ্চের সদস্যরা। কোনও রাজনৈতিক দলীয় পতাকা ছাড়াই টানটান মিছিল হয় হুগলীর উত্তরপাড়া থেকে হাওড়ার সালকিয়া পর্যন্ত। হাজার দুয়েক মানুষের ঐ মিছিলে পা মেলান ডানকুনির শ্রমিক থেকে প্রত্যন্ত রাজবলহাটের কৃষকরাও। বিভিন্ন ক্লাব সদস্যরাও যোগ দেন এতে। সকলেরই দাবি খাস জমিতে তিনশো শয্যার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ার। বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতাল সহযোগী মঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন জরুরী ভিত্তিতে আয়োজন করা হয়েছিল এই মিছিলের। জানা গেছে, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে ইন্দোজাপান কারখানার শ্রমিক, জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের সক্রিয় চিকিৎসক সদস্য ও সাধারণ মানুষের উদ্যোগে হাওড়া জেলার বেলুড়ে গড়ে উঠেছিল এক স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল। যা আজ এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেছে। একে একে বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়েছে এর ডালপালা।
সুন্দরবন, শ্রীরামপুর, কোপাই, বারাকপুর, সাঁকরাইল, চুঁচুড়া ও হরিপালে গড়ে উঠেছে শ্রমজীবী ভাবনায় ভাবিত হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের সম্প্রসারণ। যে কারখানার শ্রমিকদের হাতে গড়া শ্রমজীবী হাসপাতাল, সেই কারখানার খাস হয়ে যাওয়া জমিতেই আজ প্রোমোটিং এর হাতছানি দেখা যাচ্ছে। শ্রমজীবী হাসপাতাল সহযোগী মঞ্চের বক্তব্য, আইনি পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলেও বাধা হচ্ছে বিভিন্ন অব্যবস্থা। শ্রমজীবী সহোযোগী মঞ্চের ও সাধারণ মানুষের দাবি, বন্ধ ইন্দোজাপান কারখানার পড়ে থাকা সমস্ত খাস জমি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সহ মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ, গবেষণা কেন্দ্র তৈরির জন্য বেলুড় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্প সমিতিকে দেওয়া হোক। এই বিষয়ে সকলের সহযোগিতা চাইতেই এদিন এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। শ্রমজীবী হাসপাতাল সহযোগী মঞ্চের পক্ষ থেকে আগামী ৮ জানুয়ারি ২০২৩ বিকাল ৩টেয় বেলুড় লালবাবা কলেজের কাছে এক গণকনভেনশনেরও আয়োজনও করা হয়েছে।