হুগলি, ২২ আগস্ট:- ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মন্দিরের এক পুরোহিতকে গ্রেফতার করলেও উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। দিনের পর দিন ধর্ষণের জেরে ওই নাবালিকা সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই নাবালিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পকসো আইনে ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত কেদার নাথনকে সোমবার শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধৃত ঐ পুরোহিত কোন্নগরে একটি মন্দিরে নিত্য পুজো করে। মন্দিরের পিছনেই একটি ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে বাস করত ওই পুরোহিত। ছয় মাস আগে পুরোহিতের স্ত্রী দেশের বাড়িতে গিয়েছেন। নাবালিকা মন্দিরে মাঝে মাঝে যেত।
নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁকা ঘরে দিনের পর দিন ওই পুরোহিত ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা বাইরে প্রকাশ করলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় পুরোহিত। ভয়ে নাবালিকা পরিবারের লোককে কিছু জানাতে পারে নি। কিন্তু তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পর পরীক্ষা করে জানতে পারেন যে নাবালিকা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর বাবা মা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে পুরো ঘটনার কথা জানায়। এরপরই নাবালিকার পরিবার উত্তরপাড়া থানায় ওই পুরোহিতের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ পকসো আইনে কেস শুরু করে এবং নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই পুরোহিতকে গ্রেফতার করে। সোমবার ধৃতকে শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।