হাওড়া, ৫ জুন:- আসন্ন পুজোয় হাওড়া পুর এলাকার প্রত্যেক বড়ো পুজোমন্ডপে এসএইচজি গ্রুপ অর্থাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য স্টলের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। সোমবারই নগর জীবিকা মিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে এই নিয়ে পুরসভা প্রাথমিক বৈঠক সেরেছে। হাওড়া পুরনিগমে নগর জীবিকা মিশন অর্থাৎ ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুডস মিশন (এনইউএলএম) এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুর আধিকারিকদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা অর্থাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা যাতে আর্থিকভাবে উপকৃত হন তারজন্য সারা বছর ধরেই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে হাওড়া পুরসভা। পুজোর দিনগুলোতে যাতে এরা পুজোমন্ডপের সামনেই স্টল পেতে পারেন এবং তাদের নিজ হাতে তৈরি কিছু জিনিস বিক্রি করে উপকৃত হতে পারেন তারজন্য পুর এলাকার প্রত্যেক বড়ো পুজোকমিটির কাছে পুরনিগমের তরফ থেকে আবেদন করা হবে। এ বিষয়ে পুর প্রশাসকমন্ডলীর ভাইস চেয়ারপার্সন সৈকত চৌধুরী জানান, আমরা একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেটা আমাদের বোর্ডে পেশ করা হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, হাওড়া পুর এলাকায় যতগুলো পুজোমন্ডপ আছে প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রের (উত্তর হাওড়া, মধ্য হাওড়া, শিবপুর, দক্ষিণ হাওড়া) অন্তর্গত প্রধান যেসব বড়ো পুজো রয়েছে তাদেরকে আমরা অনুরোধ করব যাতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা সেখানে একটি করে স্টল বসাতে পারেন।
যাতে পিছিয়ে পড়া মহিলারা সেখানে স্টল দিতে পারেন। তারা যাতে তাদের কাজগুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারেন। বাণিজ্যিকভাবে যাতে তারা সুবিধা পান সেই ব্যবস্থা আমরা করে দেব। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা এই প্রোডাক্টস যাতে বিক্রি করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে। নিয়মিতভাবেই তাদের জন্য আমরা কিছু করার চেষ্টা করব যাতে তারা রোজগারের একটা স্থায়ী পথ পেয়ে যান। শুধু তাই নয়, পুজোর আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন মল এবং পুজো মার্কেটের সামনে আমরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য স্টল দেব। এদের প্রোডাক্ট বিক্রি হলে এরাও লাভবান হবেন। এদের দেখে অন্যান্য মহিলারাও এগিয়ে আসবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী করতে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর এটাই স্বপ্ন যে পিছিয়ে পড়া মহিলারা আরও ভালো কাজ করুক। যাতে তারা রোজগারের জায়গাটা আরও ভালো করতে পারেন। হাওড়ায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর যে যে গ্রুপগুলো ভালো কাজ করবে তাদের জন্য আমরা পুরসভার তরফ থেকে হাওড়ার শরৎ সদনে একটা স্থায়ী স্টল করিয়ে দেব যাতে এরা সারা বছর ধরেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেখানে প্রোডাক্টস নিয়ে বসতে পারেন। এছাড়াও পুরনিগমের যে ক্যান্টিন আছে সেটা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে প্রয়োজনে তুলে দেব। যারা ভালো কাজ করবেন তাদের উৎসাহ দিতেই এই উদ্যোগ পুরসভা নেবে।