সুদীপ দাস, ১৭ ফেব্রুয়ারি:- ইন্দো-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে চন্দননগরের ঐতিহাসিজ রেজিস্ট্রি ভবনের পুনঃনির্মান হতে চলেছে। শুক্রবার সেই ভবন পরিদর্শনে এলেন ভারতে অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসের এক প্রতিনিধি দল। দলে ছিলেন দিল্লীর ফ্রান্স দূতাবাসের ইন্দো-ফ্রান্স সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিক এমানুয়েল লেবরান ড্যামিয়েনস, কোলকাতার ফরাসী কনস্যুল জেনারেল দিদিয়ের তালপেইন সহ মোট আটজনের প্রতিনিধি দল। ৮ জনের এই দলে ছিলেন ফরাসী প্রযুক্তি বিভাগের বিশেষ প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি রাজ্য পর্যটন দপ্তরের আধিকারিক সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন চন্দননগরে রাজ্য সরকারের বিলাবহুল ক্রুজ জলশ্রীতে বৈঠক সারেন ইন্দো-ফ্রান্স আধিকারিকরা। এরপর চন্দননগর মহকুমা শাসক দপ্তরের উল্টোদিকে থাকা ঐতিহাসিক রেজিস্ট্রি ভবন পরিদর্শন করে ওই প্রতিনিধি দল। ১৮৭৫সালে তৎকালীন ফরাসী উপনিবেশ চন্দননগর রানী ঘাটের তীরে এই ভবন গড়ে ওঠে। ফরাসি স্থাপত্যের অদলে তৈরী দ্বিতল বিশিষ্ট এই ভবন ফরাসি সরকারের রেজিস্ট্রি ভবন হিসাবেই তৈরী হয়েছিলো। ১৯৫০সালে গড় দিয়ে ঘেরা একদা ফরাসডাঙ্গা হিসাবে পরিচিত এই “চন্দননগর ভূখন্ড” ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।
তারপর থেকে ব্যাবহার না হওয়া এই রেজিস্ট্রি ভবনের বর্তমানে জীর্ন দশা। ২০১৭ সালের রাজ্যের হেরিটেজ দপ্তর এই ভবনকে হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয়। তারপর থেকেই এই ভবনকে নতুনভাবে সাজিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহন করার তৎপরতা শুরু হয়। ইন্দো-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে এই তৎপরতা চলে। রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তর গোটা ভবনটি পুনঃনির্মানের ব্যায়ভার গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয় ফরাসি স্থাপত্যের মোড়কে মোড়া এই ভবনের নকশাকে অবিকৃত রেখে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হবে। এ বিষয়ে চন্দননগর পুরনিগমের কমিশনার স্বপন কুন্ডু বলেন ভবনের মূল কাঠামোকে অপরিবর্তিত রেখে আধুনিক ডিজাইনের সাথে ইতিহাসের এক মেলবদ্ধন তৈরী করা হবে। রাজ্য সরকার ব্যায়ভার গ্রহন করলেও ফরাসী প্রযুক্তি ব্যাবহৃত হবে এই ভবন পুনঃনির্মানে। ভবন তৈরী হলে এখানে সংস্কৃতি হাব করার পাশাপাশি এটি একটি দ্রষ্টব্য স্থান হিসাবে গন্য হবে। অন্যদিকে কোলকাতার ফরাসী কনস্যুল জেনারেল দিদিয়ের তালপেইন বলেন এই ভবন নির্মানে ফ্রান্স সরকার প্রযুক্তিগতভাবে সবরকমের সাহায্য করবে। নতুন ভবন তৈরীর সাথে সাথে ইন্দো-ফ্রান্স সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটবে। ভবনের পুনঃনির্মানে এগিয়ে আসায় তিনি রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।