সুদীপ দাস, ২ জানুয়ারি:- নতুন বছরের শুরুতে ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত সহযোগে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে রাজ্য প্রশাসন যখন সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে, তখন হুগলির কিশোর অভিজ্ঞানের আবিষ্কার বিশেষ ধরণের হ্যান্ড স্যানিটাইসিং যন্ত্রের উপর আস্থা দেখাল রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ। আসানসোলে অবস্থিত রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের সপ্তম ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে বছরের প্রথম দিনেই কমান্ডান্ট পারিজাত বিশ্বাস অভিজ্ঞানকে সংবর্ধিত করেন তার এই আবিষ্কারের জন্য। সম্প্রতি, হুগলি কলিজিয়েটে স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র অভিজ্ঞান কিশোর দাসের বিশেষ উদ্ভাবনী যন্ত্র টাচ ফ্রি পোর্টেবল হ্যান্ড স্যানিটাইসিং সিস্টেম ভারত সরকার থেকে পেটেন্ট স্বীকৃতি লাভ করেছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন শিয়রে, চিকিৎসকরা যখন বার বার বলছেন এর থেকে একমাত্র বাঁচার উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পড়া আর ঘন ঘন হাত স্যানিটাইস করা, তখন অভিজ্ঞানের এই উদ্ভাবন বাজারে আসলে করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা নেবে বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা। প্রসঙ্গত, করোনা প্রথম ঢেউ যখন আমাদের রাজ্যে তথা ভারতে আছড়ে পড়েছিল, তখনি অভিজ্ঞান বানিয়ে ফেলেছিল তার এই বিশেষ উদ্ভাবনী যন্ত্র। ২০২০ সালের জুন মাসে। সেই বছরই ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভ্যালে প্রথম পুরস্কার লাভ করে অভিজ্ঞানের এই বিশেষ উদ্ভাবনী যন্ত্র। তারপরই সে ভারত সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তরের কাছে পেটেন্টের জন্য আবেদন করে।
পেশাগত ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের বিজ্ঞানী ড.মহুয়া হোম চৌধুরী। ড.হোম চৌধুরী জানান এই বিশেষ যন্ত্রকে বাজারজাত করতে পারলে খুব উপকৃত সবাই বিশেষ করে চিকিৎক ও স্বাস্থকর্মীরা। উনি আশা করেন নিশ্চই এই কাজে কোনও প্রতিষ্ঠিত সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা এগিয়ে আসবেন অভিজ্ঞানের এই যন্ত্রকে বাজারজাত করতে। কিশোর অভিজ্ঞান জানায়, বিশেষ করে ডাক্তারবাবু এবং সব ধরণের স্বাস্থকর্মীদের কথা মাথায় রেখেই আমি এই উদ্ভাবন করেছি। যাঁরা জীবনকে বাজি রেখে সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত। আমি চাই ভারত সরকার বা রাজ্য সরকার বা কোনও কর্পোরেট সংস্থা দায়িত্ব নিক এই যন্ত্রকে বাজারজাত করার। তাহলে করোনার এই তৃতীয় ঢেউ প্রতিরোধ করতে অনেকেটাই সক্ষম হবে আমার এই যন্ত্র। অভিজ্ঞান আশাবাদী।