এই মুহূর্তে কলকাতা

পাটের অবৈধ মজুতদারি রুখতে পৃথক জুট ডাইরেক্টরেট গঠনের পরিকল্পনা।

কলকাতা, ২ ডিসেম্বর:- পাটের অবৈধ মজুতদারি ও কালোবাজারি রুখতে রাজ্য সরকার এবার পৃথক জুট ডাইরেক্টরেট গঠনের পরিকল্পনা করছে। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা জুট কমিশনারের দফতরের ভূমিকায় বিরক্ত রাজ্য। নবান্ন সূত্রের খবর একাধিকবার পাটের অবৈধ মজুতদারি আটকাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই সংস্থাকে বলার পরেও কোনো ফল হয়নি। গত শুক্রবার এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর সামনে সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ওই বৈঠকেই তিনি শ্রমদপ্তরকে জুট ডাইরেক্টরেট গঠনের খসড়া প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, দু’-একদিনের মধ্যেই এই খসড়া নবান্নে পাঠাবে শ্রমদপ্তর। এই ডাইরেক্টরেটের কাজ কী হবে, তা নিয়ে দপ্তরে আলোচনা চলছে।

মনে করা হচ্ছে, ধানের মতো চাষিদের কাছ থেকে পুরো পাট কিনে নেওয়ার কাজ তদারকির দায়িত্ব পেতে পারে এই ডাইরেক্টরেট। কেনার পর তারা কিছু খরচ জুড়ে তা চটকলগুলিকে সরবরাহ করবে। দেশের সিংহভাগ পাট এরাজ্যে উৎপন্ন হয় বলে এই কারবার নিয়ন্ত্রণের ভার রাজ্য সরকারের হাতে থাকা উচিত বলে মনে করে নবান্ন। তবে এই ডাইরেক্টরেট কৃষি না শ্রমদপ্তরের অধীনে থাকবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। এদিকে, মুখ্যসচিবের নির্দেশে জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী শনিবার রাতেই শ্রমসচিব বরুণ রায় ও রাজ্য পুলিসের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের (ইবি) ডিজি গঙ্গেশ্বর সিংকে নথিভুক্ত সাড়ে চার হাজার পাট কারবারির বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছেন। এই তথ্য হাতে পাওয়ার পর হানাদারি আরও জোরদার করবে ইবি, এমনটাই ঠিক হয়েছে।